বন্ধ্যা সময়ের শেষ প্রহর, জমাট অন্ধকারের মেলা
কিছুটা ক্লান্তির রেশ, অবিনাশী; প্রবল বায়ুর খেলা
তারপরই গর্ভে ফুল, নির্ভুল অনাবিল সুখ সমীরণ
কাটবে জড়তা, তন্দ্রার রেশ, সৃষ্টিতে সুখের মিলন
বিষাদের সুর হয়েছে বিলীন, খুলেছে হতাশার বাঁধন
সুখের নিমেষে ব্যপ্ত চারপাশ কালের উন্মেষ সাধন
নির্ঝর ভোরে ব্যজন বিহারে ডাকছে দুপুর আস্ফালনে
প্রথম প্রভাত সূর্যের তেজে বিদূরিত তিমির আচ্ছাদনে
আকাশ দীপ্তি ছড়ানো ভুবন প্রকৃতির অমোঘ হাসি
প্রাণে এসেছে তারুণ্যের সুর গগণ নীরদ বাঁশি


কখনো কাঁদে বজ্র-বিষাদে কখনো শীতল ঝর্ণাধারা
জীবনের নানা ঠমক ফাঁদে প্রকাশ আলোর ফোয়ারা
বেলাশেষে প্রদীপ নিভছে শ্লেষে অন্য ভুবন আগমনে
তৃপ্ত করেছে প্রাণের সলীল তবুও বিরহ আভরণে।
চড়াই উৎরাই জীবন নন্দনে আলো আঁধার স্বপ্নসিঁড়ি
নিয়তীর খেলা দিবস রচনায়, রাত্রি বিনাশ আগ্নেয়গিরি।


ফুলের সৌরভে সুখের চিত্তে, সুখ মিলনে নবসৃষ্টি
মৃত্তিকা রসে উদ্ভিদ বাঁচে গগণে মিলন মেঘ-বৃষ্টি।