একটি কলঙ্কজনক গোপন আস্তানা থেকে
বারবার উঁকি দিতে চেষ্টা করছে
নিজেকে জাহির করতে, বাইরের জগতকে জানাতে-
এখনো যে সে বেঁচে আছে!
অথচ সে ভুলেই গেছে, সে পলাতক
কিংবা নিজেকে আস্তাকুঁড়ের বর্জ্য ভাবতে নারাজ।

ফলকগুলো এখনো আছে
এখনো মোড়ে মোড়ে ঝুলছে নামফলক
কিন্তু বদলে গেছে নাম, শ্লোগানের রঙ
বদলে গেছে বর্ণমালা।

সে ভুলে গিয়েছিলো কিংবা বুঝতে চায়নি-
জোর করে ভালোবাসা আদায় করা যায় না
ভালোবাসা যায় অবিরাম।
ভালোবাসা না বিলিয়ে সে গ্রহণ করতে চেয়েছিলো
সব হৃদয়ের প্রেম, মনের সৌন্দর্য
পেতে চেয়েছিলো সবার হৃৎস্পন্দনের ছন্দতা।

সবার মুখের ভাষা কেড়ে
চেয়েছিলো সব ভাষা হোক তার মুখে
সব রসনায় তার স্তুতিতে লালা ঝরিয়ে
সেই লালাতে গড়ে উঠেছিলো বিরাট মোসাহেবঘর
তেলমদর্কদের তোষামোদে ভুলে গিয়েছিলো-
মোসাহেবঘরে ছিলো ইঁদুরের বাস।


সবাই জানে বর্জ্যটা সবারই ঘৃণার পাত্র
নর্দমার কীট আর উঠে আসবে না বাস্তুভিটায়
ওখানেই পচেগলে বিলীন হবে
কলঙ্কের আস্তানায়।
শুধু রয়ে যাবে মানুষের মনে -
ঘৃণ্য ইতিহাসের অধ্যায়ে, ঘৃণিত পাঠ্য হিসেবে।

বন্ধ হয়ে যাবে উঁকি মারার চেষ্টা
লম্ফঝম্প সব শাগরেদের।