মাথা গোজার ঠাঁই মিলে না
প্রাসাদ বানায় মুখে।
ক্ষুধার জ্বালায় খুদ মিলে না
থাকে স্বপ্ন সূখে!
          পাঁচ আনা আয়ের স্রোতে
          গা বাসায় দশে
          কথার মায়ায় রাখতে চায়
          সবাইকে তার বশে!
দুই কাইকের মুরোদ নেই
ভেঙ্গে ফেলে হাঁড়ি
শুনে হবে আক্কেল সবার
এসব লোকের ঝাড়ি!

কুড়ে ঘরে শুয়ে গুণে
কত ধানে কত চাল
মুখে শুধু কচকচানি
দেখো গদাই লস্করী চাল!
            ঢাক গুড় গুড় ঢাক গুড় গুড়
            বানায় শুধু বালির বাঁধ
            তিড়িং বিড়িং তা থৈ তা থৈ
            কচুঁ বনের কালা চাঁদ!
বাস্তু ঘুঘুর টোপ ঘিলে
নিজকে ভাবে কেউকাটা
অশ্ব-ডিম্ব খেয়ে ভুলে
জীবনের জোয়ার ভাটা!
           দাউদকান্দি এসে বলে
           ঘুরে এলাম দার্জেলিং।
           কানটা তোমার বেলুন হবে
           শুনে এদের তাফালিং!!


নীতির ইতি ঘটিয়ে তবু
হয় যে নীতিবান
পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে
তারেই আবার চোখ পাকান!
           লজ্জা নিয়ে বড়াই করেন
           ছা-পোষাদের জোঁ-হুজুর
           পিছন থেকে চুনোপুঁটি
           ডেকে বলে চশমখোর!
পরের ধানে মই দিতে
নিজেই পড়েন গ্যাঁড়াকলে
ঊনপাঁজুরের দোহাই দিয়ে
সাতার কাটেন হাঁটু জলে!
          বুদ্ধিজীবি সাজতে শোনান
          "এক মাঘে যায় না শীত"
          মনোন্নয়নে বাজান তবু
          ধান বানতে শিবের গীত!
দেশ-প্রান্তরে ঘুরে বেড়ান
হাতে পড়ে কানের রিং!
কসম করে বলছে তোমায়
নেইকো এতে তাফালিং!!



দেশের কথা ভাবেন তিনি
নিজের চরকায় দেন না তেল
ধড়িবাজের পাল্লায় পড়ে
নিজের মাথায় ভাঙ্গেন বেল!
         পরের ধনে ঢোল বাজিয়ে
         দেখান কত পাকা হাত
         সময় হলে দেখেন যদু
         বিনা মেঘে বজ্রপাত!
ধামাধরের নেক নজরে
মাথায় গজে খাড়া শিং
রাঘব বোয়াল হেসে মরে
দেখে পুটিঁর তাফালিং!!