একটা ঘোড়ার ডিমের বিনিময়ে
আমাদের অধিকারগুলো বন্ধক রেখেছি।
বাজারে হাঁস-মুরগির ডিমের চড়া দাম
ভেবেছি একটা ঘোড়ার ডিমে পাঁচটা বছর
অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারবো।
অধিকার দিয়ে কী করবো?
পেটে তো কিছু চালান দিতে হবে!
অধিকারগুলো জমা দিয়ে
একটা ঘোড়ার ডিমের অপেক্ষায় আছি।
বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে
ঘোড়ার ডিম কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না
ওরা হয় তো জনগণকে ঠকিয়ে আনন্দ পায়
আমরা সাধারণ, ঠকে আনন্দ পাই।
আনন্দ পাওয়াটাই যেখানে মূখ্য
ঘোড়ার ডিমের অপেক্ষা, বিশেষ কী আর?
এখনো ডিমের অপেক্ষায়...
সেদিন চায়ের আড্ডায় প্রসঙ্গটি উঠতেই
নেতাজি মোলায়েম কন্ঠে ধমকিতে বললেন-
ঘোড়ার ডিম সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে
আমরা হা করে তাকিয়ে থাকি
তিনি বললেন, তোমরা পাওনি সেটা তোমাদের ব্যর্থতা
আমরা পৌঁছে দিয়েছি, সেটা সফলতা।
ব্যর্থতা আর সফলতার মিলনেই জীবন
আমরা খুশি, আমাদের ব্যর্থ বলেছে
মূর্খ বলেনি।
এখন আমরা পাঁচটি বছরের অপেক্ষায় আছি।