মনে করেছিলাম, বর্ণমালার পাঠ শেখা বুঝি শেষ
বর্ণ চেনা-জানা, বর্ণের খেলায়-
শেষ করে ফেলেছি সর্বাকারের পরিচয়!
এখন দেখছি-
ভালো করে বর্ণ চেনাই শেষ করতে পারি নি
পাঠ তো দুরে থাক
বর্ণের খেলায় আমি নিজেই পরাজিত
নানা রঙের নানা ঢঙের
বর্ণের নানা ভঙ্গি আর ভাব দেখে ভাবছি
এগুলো কি নতুন_? নাকি আগেই ছিল পাঠ্যবইয়ে


আদর্শলিপির লিপিগুলো কি সত্যিই আদর্শিত
নাকি কারো খোলসে ঢাকা
ভিন্ন রঙে ভিন্ন ঢঙে আবার অন্যরূপে দেখবো তাদের?


কখনো ভাবি নি, নিজের তৈরি করা শব্দগুচ্ছের কাছে-
নিজের আবিষ্কৃত পদাবলীর কাছে-
নিজের সৃষ্টিশীল লিপিকার কাছে পরাজিত হতে হবে!


প্রতিটি বর্ণ, প্রতিটি সংকেত, কার কিংবা অনুস্বার
সব তো আমার মগজের সাথে, আমার তন্ত্র -
আর শিরা-উপশিরায় মিশে গিয়েছিল।


হঠা‌ৎ আজ ওরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠলো কেনো?
কেন আমাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করে
বর্ণবিদ্বেষী ভেবে দুরে ঠেলে দিলো
আমি তো সব সময়ই বর্ণগুলোর আপন ছিলাম
সব বর্ণকে একই চোখে দেখতাম, ভেদাভেদ করি নি
কাছে টানতাম, আদর করতাম
সবাইকে নিয়েই খেলা করতাম
তাহলে, কেন হঠাৎ এমন হলো?
পর হলাম আমি, হয়ে গেলাম চিরশত্রু
খুব দুরের, কিংবা কোনো অচীনপুরের
অতীত ইতিহাস থেকে স্বীকৃত কোনো এক খলচরিত্র।


আমাকে বিদ্রোহী ভাবুক, কিংবা তারা বিদ্রোহ করুক
আমি তো তাদের ছাড়া থাকতে পারবো না এক পলকও
ক্ষণিকের কোনো এক অধ্যায়েও
আমার সব পরিচয় তো বর্ণমালার পাতার ভেতরই
হ্রস্ব আর দীর্ঘ হোক
সকল স্বরে, সকল সুরে আমি তোদের থাকতে চাই
তোদের নিয়ে বাঁচতে চাই, তোদের ভেতর দিয়ে।
তোদের বর্ণ নিয়ে, তোদের স্বরের মাঝে
আবার জেগে ওঠে
ছড়িয়ে দিতে চাই আমার বর্ণ-পরিচয়।