অন্ধকার রাত্রে ডাস্টবিনে পরে থাকা আজকের কর্ণ,
চিৎকারে বিদীর্ণ করছে পৃথিবী কঠিন আক্রোশে।
অমাবস্যার অন্ধকারে মুখ লুকিয়েছে চাঁদ ,
বুভুক্ষু তৃষ্ণা একফোঁটা দুধের ।
রাধা নেয়না তাকে কোলে তুলে,অচ্ছুৎ সুতপুত্র নয় সে ।
সে ভবিষ্যৎ, ভবিষ্যৎ কাঁদছে অন্ধকারে –
প্রায় চিঁড়ে পৃথিবীর বুক, নিশ্চুপ পৃথিবী ।
কোন কুমারী মায়ের না চাওয়া ধন সে !
অন্ধকারে চুরচুর সভ্যতার অস্তিত্বের জানান দেয় তার চিৎকার।
হাত জোড় করি রবীন্দ্রনাথ সরে দাঁড়াও ।
তোমার কবিতার ছন্দের স্থানে আজ রক্তমাখা কাপড়ে বাস্তব।
আজও সুকান্ত বলে , ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ।
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি ।
ক্ষমা কোর বিবেকানন্দ, তোমার বানী,
কষাঘাতে ঝরছে পৃথিবীর রক্ত ।
মায়ের বুকের দুধ মাত্র একটু দূরে,
স্তনবৃন্তে  পৌঁছয় না শিশুর মুখ ! কার অপরাধে ?
শুধু নারীর লজ্জা ? নারীর পাপ ?
কেন পরিচয়হীন কর্ণ পৃথিবীর বুকে ?
কেন যথেষ্ট নয় মাতৃত্বের পরিচয় ?
কেন স্বাধীনতা নেই আপন শরীরে ,
কাঙ্খিত পুরুষকে কামনার ?
হে কর্ণ, তাই তো হতে হয় তোমায় লাজ্জিত বারবার সুতপুত্র পরিচয়ে।
আজকের কর্ণ ছাড়ে হুঙ্কার।
নয় বাহুবলী সে   নয় তীক্ষ্ণ ধনুর্ধর ।
সুদে আসলে উসুল করতে পাওনা তার করে সমাজকে ছারখার ।
অযাচিত কর্ণ আবার জন্ম নেয় পৃথিবীর এখানে ওখানে ।
নামহীন , পরিচয়হীন, অন্ধকারের ভয়ঙ্কর গুহায় ।
শোনা যায় তার চিৎকার ।
                                                                               কণা