দেখেছি সাতরঙা রামধনুর শেষে
জীবনানন্দের সবুজ ঘাসের দেশ;
সাতসমুদ্র-তেরো নদী পেরিয়ে পাওয়া
রূপকথার গল্পের মতো সোনালী ধানের দেশে
পান্নার মতো সবুজ ঘাসের সাথে
নাম না জানা কিছু রঙীন ঘাসফুল,আর
বহু দূরে শাল-পলাশ-মহুয়ার বনে রক্তের নেশা;
নিঝুম দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
চেনা কিছু চড়ুই-বুলবুলের চিরপরিচিত ডাক,
আর ঘুঘুর করুণ সুরে ফুটে ওঠা পৃথিবীর দীনতা;
না জানি কিসের আশায় পরিচিত পুকুরের ঘাটে
বক-সারস-মাছরাঙার সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা;
মাঝে মাঝে অতীতের স্তব্ধতা ভেঙে দেয়
গুটিকয়েক শালিকের সুতীব্র কলহধ্বনি;
হেমন্ত গোধূলিতে দূর আকাশের বুকে,
হয়তো দু'একটি শঙ্খচিলও উড়ে যায়;
রাতের আকাশে অগুনতি তারার ভিড়ে,
কান পেতে শুনি, চেনা কবির অচেনা কিছু কথা;
কখনও ঘুম ভেঙে জেগে উঠে দেখি ভোরের আকাশ, আর এককোণে চেনা শুকতারা--
এসবেরই ভিড়ে, ফেরারি মন,
খুঁজে ফেরে কোনো চেনা নস্টালজিয়া।