প্রিয়তমা বলো, আমরা কি মুক্ত মঞ্চে র ন্যায় মুক্ত হতে পারবো?।
চাঁদের ন্যায় ঘোর অন্ধকারে জ্যোৎস্না বিলাতে পারবো?
আমরা কী পারবো নিজেদের সংকীর্ণতা কে কাটিয়ে উঠতে?
প্রিয়তমা বলো, প্রেম কি এতোই সংকীর্ণ যে সে মনুষ্যত্বকে পাশ কাটিয়ে যাবে?
মনুষ্যত্ব, সহিষ্ণুতা, সহানুভূতি, সংবেদনশীল তা যে সমাজের বায়ুতে ন্যায় সেই সমাজে কী প্রেম বাঁচে?
নাকি সবাই প্রেমের অভিনয় করে?


প্রিয়তমা, প্রেম কী দাড়ি পাল্লা যে তা মানুষের মূল্য নির্ধারণ করবে?
প্রিয়তমা, প্রেম তো শেয়ার মার্কেট নয় যে এক ব্যক্তির লাভের জন্য অন্যকে পথে বসাবে।
প্রেম তো সবার সাথে সন্ধি, ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ কিন্তু অনিন্দ্য সুন্দর হৃদয়ের মেল বন্ধন।


প্রিয়তমা বলো, প্রেম কী শুধু তোমাকে জড়িয়ে ধরা?
নাকি নিপীড়িতের পাশে দাঁড়ানো, বুভুক্ষু দের অন্নের সংস্থান আর রাস্তায় পড়ে থাকা নিতর দেহ কে আলিঙ্গন?


প্রিয়তমা, এই শহর নগরে যত শত মানুষ প্রেমে পড়ে,
তার কিয়দংশের বুকে যদি কিছুটা মনুষ্যত্ব থাকতো, তবে নবারুন ভট্টাচার্যের কি লিখা লাগতো এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়?
যে শহরের রাস্তায় প্রিয়তমা হাটে, সে শহরের রাস্তা কি নারীদের জন্য অনিরাপদ হতো?
প্রিয়তমা, তুমি কি আদৌ বিশ্বাস করো এই শহরে কেউ প্রেমে পড়ে?
প্রেম তো সুন্দরের সাথে সম্পর্কিত, তাহলে চারপাশে কিভাবে এতো অসুন্দর খেলা করে?
প্রিয়তমা, এই শহরে প্রেম এক মৃত লাশ যা কবর নাটকের মুর্দা ফকির হয়ে ঘুরে ফিরে।