ভেতরে ভেতরে পুড়ে ছারখার হই রোজ
বাহিরের মানুষ দেখে মসৃণ চোখ
চোখের নিজস্বী দেশে জমে থাকা পানি
কথাদের খোরাক হয়, মিছিলের শোক


পুড়া গাঁও, ভেতরের বনানী বিলীন
হ্রস্ব দীর্ঘ এঁকে অপলাপ যতো
পরদেশের বাঁকে, ভাঁজে অচেনার
লুকিয়ে রয়েছি ক্ষোভ, মৃতদের মতো


হাতের কলম বোকা, অপলক চোখ
কত বলার ছিল, ভুলে গেছি ভুল
ভেতরে আকুল নদী, বেগানা সাঁতার
ভাসি ডুবি হাঁটু জল, বিদগ্ধ বকুল


বলতে পারিনা কথা, বাহানা পুরান
আর্তনাদ পোষে খুব কবরের পথে
অকুতোভয় গত কিশোরের হাসি
সামান্য প্রলেপ হয় পরাভূতের ক্ষতে


ভেতরে দ্রোহের বাঁশি, মেকি হাসি ঠোঁটে
এই পরাজয় যদি জীবন হয়
যতই চিৎকার করি দেশপ্রেম স্বরে,
স্বদেশ জননীর আমি সন্তান নয়


এক লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার পরিমাপে রোদ
যথার্থ আমাকে যদি করেছে নির্মাণ
আমিই পূজার ঘন্টা সনাতন পুত
আমিই মুসলমানের পবিত্র আযান


বলতে পারিনা সত্য, ভেতরে আগুন
মৌলিক অধীকার নেই নাগরিক পাতে
আমরা মজুরের যত প্রেষণের পাওয়া
অপভ্রষ্ট হাত হয়ে যায় ভুল খাতে


কেউ কী দেখার নেই, নেই তো জানি
নীরবে দেখি আর চোখ বোজে সই
চেতনার গল্প কিংবা ব্যবসা ধর্মের
আমিও তো এই দুইয়ের বাহিরের নই।


প্যারিস
১২/০৪/২০২২