আকাশের দিকে তাকালে আমি ঈশ্বর দেখতে পাই
বুক ভারী হলে, চোখের উছল ছলনায়  
ওদিকে তাকাই আমি, আকাশ খুব আপন হতে জানে
দূরত্ব ভাঙেনা তবে, আপন পর তুলেনা গর্জন।


সংকীর্ণ জীবন পথে
বিব্রত হতে হতে হাতের তালু
নিমিষ নিমগ্নতায় যখন ভ্রু-তল ছুঁয়ে দেয়
আকাশের উদার কেবল বাঁচার সাহস দিয়ে যায়।


এ বুকে আশ্চর্য রাত
চোখের কাজিম শেষে আছে এক সুবহে সাদেক আত্মজা
প্রত্যুষ প্রার্থনাপূর্ণ পবিত্র প্রভাত মেয়ে
আকাশের মতো খুব নৈমিত্তিক আনন্দে আমায় রাখে।


আমার মৌন মেয়ে গৌণ পৃথিবী ভুলিয়ে
অপরাহ্ণে আমার এক সরল আসমান
অতল  দূরের পথে হাঁটি হাঁটি পা পা
ছয়ের চঞ্চল শিশু দিনে দিনে উঠছে হয়ে কন্যা বকুল।


১৮/০৫/ ২০২৩
প্যারিস