আমূল তর্কাতীতের মধ্যেও জল ঝরে
ফল ধরে, আয়ু পায় নতুন প্রভাত
হাত ছেড়ে পুরাতন হাত অনীল আকাশে খুঁজে
অন্নের চেয়ে আনন্দ কিছু, চোখ ভরা ভুবনের পানি


আলিঙ্গন ভেঙে গেলে কিছু কিছু ভাল হয় তবে
যতক্ষণ চূর্ণ হয় বুকের মিনার, চোখের নদীতে তখন
একরত্তি স্বপ্ন জমে মধুস্রোতে ভেসে যেতে
বেগবান আরো বেগবান হয় এই অস্তাচলের হাসি


নির্বাসনে গিয়েছ তুমি বউ গন্ধর্ব
স্থির অর্ঘের মতো ভ্রমাকুল শাঁখার  অস্তিত্ব
আকুলিত পথে পথে ধুলোর পসরায়  খুঁজে যাই  
আর দিন আর রাত নতুন আঘাত হয়ে তুমি মোরে বাঁচতে বলে যাও।


ওখানে ছিলনা কেউ, তুমি আমি আর কিছু গোলাপের পানি
কালেমা পড়েছিলে তুমি মনে মনে
আমি তোমার পড়েছিলাম চোখ মুখ, বুক হয়ে নাভীমূলের বাণী
কাশবন, আমাদের মিতালী বেঁধে পবিত্র হয়েছিল ঝড়


কোন তো ছিল না চুক্তি, ওগো অগ্নিস্বরূপা
আমার পাপের শরীর তোমার উত্তাপে মিশে
অবিশেষ আমাকে চির ফুলভারে ন্যুব্জ  করে
কতশত চুক্তিহীন বাঁধনে বেঁধে মানুষের সারিতে এক নতমুখী আঘাত করে রাখে।