প্রেম করে শেষে বিয়েটা সেরেই নিলাম,
বউকে নিয়ে বেজায় ভয়ে বাড়িতে গেলাম।
মায়ের আমি শিবের সলতে, তাই (হয়তো) নিল মেনে,
বরণ করলো নতুন বধু পূজার থালায় প্রদীপ এনে।


ভেবেছিলাম, এবার মা পাশে সাথী পাবে,
দু:খ-কষ্ট, একাকীত্ব এসব কিছু মুছে যাবে।


কিন্তু যা কিছু হয় ভাবা, সেটাই পূরন হয়না।
দুদিন বাদেই বৌয়ের নামে নালিশ করলে মা।
বৌ নাকি রোজ দেয় যে খোঁটা, খায় বসে বসে,
বললে কিছু কাজ করতে, গোখরোর মত ফোঁসে।
রাগের রোষে হেঁসেল ঘরে থালা-বাটি ফেলে ছুড়ে,
এরপরে কান্না করে আঁচল ভেজায় নিজের ঘরে।
পেটের ছেলে তুই যে আমার, এবার তবে বল,
এমন ডাইনি থাকলে ঘরে সংসার যে টলমল।


বৌ আমার ঘরের কোণে চুপ করে ছিল দাঁড়িয়ে,
ডাইনি কথায় হুষ হারিয়ে উঠলো তখন চেঁচিয়ে।
বুড়ো বয়সে ভিমরতিটা সব মানুষেই ধরে,
মুখ সামলে কথা বলবেন নইলে দেবো ঝেড়ে।
উনি আপনার পেটের ছেলে আমার কী কেউ নন?
সাতটি পাকে নিয়েছি ফেড়ে আমার স্বামী হন।
দিয়েছি আমার মন-প্রান, তাই আধাআধি সুখ-দু:খ,
সব কিছুতেই শাষন করার রয়েছে আপনার অসুখ।


তেলে বেগুনে উঠলো জ্বলে আমার মা মুখ খোলে-
ঘর বাড়ি সব নাও যে তুমি ছাড় আমার ছেলে।
জোর কদমে লাগলো ঝগড়া, দুই দিকে দুই পার্টি,
মধ্যেখানে বসে ভাবি- আমি কার প্রোপারটি।



ALL THE CHARACTERS IN THIS POETRY ARE IMAGINARY, RESEMBLANCE TO ANY PERSON DEAD OR ALIVE IS PURELY COINCIDENTAL.