আমি অপেক্ষা করছি আগ্রহে
তোমার জন্য মৃত্যু হে
অনেক লড়াই করেছি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত
এখন আমি বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত, অবসন্ন, কান্ত
জন্মের আগে মাতৃজঠরে অন্ধকারে
ভূমিষ্ঠ হতে হয়েছে অনেক লড়াই করে
জন্মের পর হাঁটার জন্য করতে হয় যুদ্ধ
খেলায় পারদর্শী হয়ে করতে হবে মুগ্ধ
একটু বড় হতেই কুঁজো হতে হয় শিক্ষার ভারে
শুরু হয় ইঁদুর দৌড়, ছুটতে হয় সামর্থের বাহিরে
অমানুষিক অসহ্য চাপ থাকে ঘরে ও বাইরে
“প্রথম হতে হবে পড়ায় খেলায় ও সাঁতারে
চাপ সইতে সইতে শিক্ষার শেষে
রুটি রুজির চিন্তা এসে মাথায় বসে
সবচেয়ে কঠিন লড়াই শুরু হয় জীবনে
চারদিকে নিরাশা আনে হতাসা আসে মনে
অসহনীয় বেকার জ্বালা সে কি যে জ্বালা
জানে শুধু সেই বেকার শ্যালা
যদিও একটা রোজগারের ব্যবস্থা করা যায়
জীবন সঙ্গিনী খোঁজার লড়াই শুরু হয়
নিজে সৎ না অসৎ কিন্তু চাই সতী, সুন্দরী, সুশীলা
ঠক খুঁজতে গাঁ উজাড় শুধু খুঁজে চলা
বিয়ের লড়াই শেষ হলে
যৌবনের সংগ্রাম চলে
শ্যম রাখি না কুল রাখি  
মায়ের মন রাখি না স্ত্রীর মন দেখি
দিনের পর দিনের অসহায়তার সঙ্গে
আসে ঘরে নুতন অতিথি রঙ্গে
শুরু হয় অতিথিকে মানুষ করার সংগ্রাম
আসে হতাশা, নিরাশা, অবিরাম
বৃদ্ধ রোগগ্রস্থ পিতা মাতার রক্ষনাবেক্ষন
অন্যদিকে অর্ধাঙ্গিনীর কঠোর শাসন
যাঁতাকলে পিষে পিষে শেষে অবসাদ আসে
হে শমন তোমার আশ্রয়ে যেতে ইচ্ছা হয় শেষে
বয়স বাড়ে রোগ জরা গ্রাসে সংসারে অশান্তি ভাসে
যত দুঃখ দিতে চাও, দাও পিতা মাতাকে
তাদের প্রার্থনা’’সন্তান সন্ততি যেন সুখে থাকে”
প্রার্থনা যখন না হয় পুরন
হে শমন হে মোর শমন
নিয়ে যাও মোরে তোমার ঘরে
অপেক্ষা করে আছি তারি তরে।।