কৌরব বংশ ধ্বংশের প্রধান কারিগর শকুনি
  মহাভারতের পাঠককুল সবাই নিশ্চিত জানি
অন্ধ শাসকের কারাগারেই ছিলেন বহু বছর তিনি
কূটবুদ্ধিসম্পন্ন, অতি ধূর্ত ও কপট ছিলেন শকুনি
জেলে থাকতেই কুরুবংশ ধ্বংসের করেন প্রতিজ্ঞা
ছলে ও কৌশলে তিনি প্রতিশোধ নেন তাঁর দণ্ডাজ্ঞা  
ছাড়া পেয়ে তিনি যুবরাজের চটি চাটতে করেন শুরু
শঠতা ও চাতুর্যে যুবরাজের হলেন উপদেষ্টা ও গুরু
তাঁর কুপরামর্শ ও কুমন্ত্রনায়ই আগুন লাগলো দেশে
চললো নারী নির্যাতন, জতুগৃহে বহ্নি, লুঠ, চুরি বেদখল
একালে শকুনিও অভিনয়ে দঢ়, মিথ্যাকে করেন বদল
শুরু হয়ে যায় নানা অপকর্ম, অরাজকতা, অপশাসন
স্নেহে অন্ধ শাসক জেনেও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে থাকেন
বুদ্ধিজীবী, অমাত্য, কর্মচারী উচ্ছিষ্ট ভোজী নিশ্চুপ
শকুনি এখন যুবরাজের মন্ত্রনাদাতা, বৃদ্ধরা সব চুপ
মায়াবী শকুনি মায়া দয়াহীন কুম্ভীরাশ্রু করেন বর্ষন
ভুলকে সঠিক প্রতিপন্ন করতে করেন তর্জন গর্জন
গভীর জলের মাছ তিনি নিজ স্বার্থ ভালোই বোঝেন
কারাগার থেকে বেরিয়ে রফা করে স্বার্থ গুছিয়ে নেন
অন্ধ কুঠরিতে থাকার সময় দোষী করতেন ধৃতরাষ্ট্রকে
বেরিয়ে এসে বোঝাপড়ার পর পূজা করেনই তাঁকে
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আঠারদিনে তাঁর জীবন হয় শেষ
যতই চতুর হন কৃষ্ণের ইচ্ছায় শকুনিরা হবে নিঃশেষ।।