মহা সুবিধা পেলো, বেওয়ারিশ কুকুর গুলো;
বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে
আয়েসে-অনায়াসে ক্লাসরুমে- ভেতর বাহির যাতায়াত।
কারণ, পানি আর ঘুণে খেয়ে সারা,
শীরিষ কাঠের দরজার নীচটা।
কী দারুণ পার্ট টাইম ইউজার!
আমাদের ক্লাসরুম বারান্দার, 
মেঝের ফাঁটা-সুরংগে তার বসতি আঁটা।
ইদুর ছানায় বিলাসী ব্রেকফাস্ট; আরও আরও অন্ন-
যোগাড়ের প্রয়োজন।


গৃহস্তরা নেই, খাদ্যও নেই!
যা ক'জন ছিলো, লাশ হয়ে গেলো।
এ-ই পচা লাশগুলো- কদিনই বা খেতে লাগে!
বা সব খাবারে কী পেট ভরা চলে।
সন্ধ্যা হতেই তাই-
সানাই এর সুরে পাড়ায়- মহল্লায় সারা শহর জুড়ে
কুত্তাগুলোর আর্তচিৎকার।
স্কুলের দেয়ালে বাড়ি খেয়ে-
প্রতিধ্বনি তোলে বারবার।
তবে শত বেদনার প্লাবনে, ব্লাকবোর্ড বেঞ্চগুলো- কী অপূর্ব! ঠিক ঠিক ছিলো।


আমরা আবার তাই-
জমিয়েছি গান, দুই-এক্কে-দুই
নামতা পড়ার গান।।


ঢাকা, ২৫ই নভেম্বর ২০২০


প্রেক্ষাপটঃ স্বাধীনতা সংগ্রাম, ১৯৭১।