মহেঞ্জোদারো-বটমূলে, ইতিহাস শতমূলে,
মহাস্থানগড়-ময়নামতি জ্ঞানের জন্য ধূলে,
কালি-শিব-ব্রহ্ম জপে,
কৃষ্ণ-বুদ্ধ পাদে সপে,
বৈষ্ণব-বাউলের তার ছিঁড়ে সন্ন্যাস-আউলিয়ার দেশে,
কত সভ্যতার ধারা বেয়ে এসেছি আজকের এ বেশে।


হঠাৎ দেশে আকাল এলো, চালচিত্র পাল্টে গেলো,
নাইতো জনসংখ্যাভারে, টাকশালেতে টান পড়ল।
শিল্প বিপ্লব তেলের দামে,
মামারা চলে জোর কদমে।
পশ্চিমের চাচারা মোদের, উক্তি করেন বেজায় রোষে,
অহংবোধে উপমা দেন, তলাবিহীন বাস্কেট কেসে।


ঘিঞ্জিকোটা গায়ের ওপর, দালানগুলো হেলে,
আকাশ বাতাস আটক করে, শ্বাস মোদের যায় চলে।
তার ভেতরই দিবা-রাত্র,
অভাবে তাই স্বভাব নষ্ট,
আবর্জনা পয়নালী, গৃহস্থালি ফরমালিনে,
সব একাকার ভাসছি যেন, বস্তিতে বাস পরের ঘরে।


ফুসফুস আর ক্যান্সার রোগে, পাল্লা যেন চলছে বেশ,
পকেট ভারী চিকিৎসকের, অর্থ-দেহ দুটোই শেষ।
কার্বন মৌল বেশ দাপটে,
সালফার মৌল অম্ল বেশে,
গাড়ির গতি বাতাস টানে, ধূসর ধূলো আছড়ে পড়ে,
ভিড় জমাচ্ছে হাসপাতালে, বাচ্চা বুড়ো শ্বাস ধরে।


উঠতি যুবা মিললো কাঁধে, কু-অভ্যাসের টানে,
আফিম-গাজা-ইয়াবা ক্লাবে, রক্তগরম গানে।
নতুন সমাজ গড়বে তারা,
বাপের টাকায় আত্মহারা।
হৃদয় ছাড়া এই শহরে, পড়শী থাকে নিজের তালে।
মৌমাছিদের মধুর চাকে, নেইকো কিছু সমাজ বলে।।


ঢাকা, ৫ই মে ২০১২