গুছিয়ে রাখি দাদীর বোরখা,
যেমন, সেই ছিলো সাথী,
খেলতে খেলতে কখন যে সেলাই গেছে ছিঁড়ে,
ভুলে গেছি প্যান্ট এর কোন দিক খোলা,
কে ছিলো আলাভোলা!
সেই ছিলো, হাতে হাত ধরে দুনিয়া আমার দেখার সাথী।


এগিয়ে রাখি মায়ের শাড়ি, বাহানায় পিছ পিছ কাঁদি।
যেমন, সেই ছিলো কোমল কোল,
আমার মুখে ছিলো ক্রীমরোলে তার বোল,
চারিদিকে ভালোবেসেছি বেশি বেশি শোরগোল-
আমি নিরাপদে, ধিতান ধিতান নাচে, প্রভুর বিশ্ব দেখি।


পাকিস্তানি সালোয়ারে, আমার অনুপমা অনুপম,
পা ঘুরে আরও দুটো,
ভীষণ প্রেমে তাই লাগে না বিষম;
ফেলেনি কেউ তারে- রাজাকার কাতারে,
নেই কোনো ডুশ, মারে নি কেউ গুতো।


শস্য-ফুলের বাজার চরে,
বাংলার ক্ষেত-বাগান-বাড়ি ঘুরে,
তেরংগা কি ছয় মৌসুমের প্রাণবন্ত সব সন্ত,
নাকি বারোতে হয় তেরো সূর্যের বসন্ত;
মাতি আমি সমাজে রূপের বাজারে,
নব নব ফ্যাশনের আবিষ্কারে,
মেয়ের সাথে দোলনায় দুলি বসনের দোকানে-
ঘোমটা কই, আছে কিবা নেই!
দাদীর, মুদির দোকানীর ঝাপ্টা বন্ধ!
মা আমার মেয়ে কিংবা দাদীমা, বউদের সাথে নেই দ্বন্দ্ব,
বদলে গেছে যে ফ্যাশন।
যেমন বদলে ভূমা-  বায়ুর ঘূর্ণন,
যেভাবে মধুমতী ভাংগা-গড়ায় জাগায় মনন,
গতিতে সে, শ্বাশত তার দিক পরিবর্তন।


শোনো, ইরানি তরুণী!
তোমাদের ফেলে দেয়া হিজাব করিব আমদানি,
এভাবে রাজপথে, দিও না প্রাণ;
বাংলায় চলে কবিতার সাথে, শত নদী বহমান।
হিজাব-নেকাব ভালোভাবে ভালোবেসে-
এখনো তেমন জানেনি- বাংলার তরুণী,
যেখানে বাস করে বারোমাসি বাহারী ফুল,
যেখানে, ফুলেল শাপলা ঘুটা করে খায়,
যেখানে, শিল্পী আর বাউলারা নাচায় নদীর দুকূল।।


নড়াইল, ৩রা অক্টোবর ২০২২