বঞ্চনার কঠিন হিসেবে
দলেদলে কলকাকলীতে দিন পার হলে
সন্ধ্যায় যদি প্রভুকে স্মরে দুইয়ের পল্লব মিলাই
যার যেভাবে জুটুক চেলাই
বালাই আমার অবকাশের রূপকথা।
ভোর সকালে চুপকথারা অঙ্গ চালায়
দিবাকরের তালে তালে সংগ্রাম চলে 
তালুতে তালু সংযোগে, যতটুকু পেট ভরে।


শ্বাস খুঁজতে, দেখি বুকের কতটুকু বাড়ে ছানি
সংগ্রামে খোঁজ, কোথায় ফ্রীতে পাবো নির্মল বায়ু। 
ভালো কথা। সুবাস টানতে এইতো দাঁড়াও এখানে,
ও-ই বাড়ির সামনে,
হাসনাহেনা শোনে না কুত্তার চিতকার!


ব্যানার্জি আজ বুনার্জী পরিচয়ে সংগ্রামে সারাদিন
পল্লব দুটি মেলায় চুমুকে, চা-পানিতে নুন,
গায় গুনগুন, লোনাঝালে পাতিচখা চেখে।
ক্লান্তি নয় বিজয়ের আবির মেখে
চা কন্যারা ফিরে গৃহে


জানবো হে- কী পাবো পথে, তোমার আমার পাতে, চলতে বলতে ফ্রীতে?


২১শে নভেম্বর ২০২৩


কৃতজ্ঞতা: চা–শ্রমিকের খাবার ‘পাতিচখা’, শিমুল তরফদার ও সাদিয়া মাহ্‌জাবীন ইমাম, শ্রীমঙ্গল, সিলেট, দৈনিক প্রথম আলো, ২১শে নভেম্বর ২০২৩।