ঐ শোনো শুনশান!
এতো নয় গুলশান;
কার্তিকের জোছনায়-  অভাবের বাংলায়,
পেত্নীদের জলসায়- নাঁচে না কেহ হে।
ও বাহে,
থকথকে, জমা জমা, এ-ই আমাদের পলির বাঁশবাগান।


আমি খুঁজি রসালো বাংগাল রূপকথা।
কোথায় যেন আঁটকে যায়-
উপভোগের ব্যথা,
ইতিহাসের পাতা।


হাড্ডিই যার আছে সার,
পেত্নীরা রস চুষে, পল্লী এখন ছোবড়ায়।
ঝাড়ফুঁক ওয়ালার-
ভালোবাসা ছেড়ে যায়, তন্ত্র-মন্ত্র বুলিয়ে হাটে-ঘাটে,
গিঁটে গিঁটে,
সময়ের পিঠে, শয়তান মিটমিটে-
এখন শুধু মলম বেচে খায়।


পল্লীর বাঁশ-  রূপেগুনে,
বাগানশিল্পীর চিত্রায়ণে- বাড়ে, রুজিতে কড়ি,
দিচ্ছে বাস্তু পাড়ি;
যেভাবে বাতাস ঘোরে,
অভিযোজনে চাই তার অভিবাসন,
নয়া বাগান, নয়া রাজধানী- পেত্নীর বাড়ি।


লালচে বাঁদর চোংগা হাতে, যায় দাওয়াতে- 
নামকরা আঁকাড়া, নব তান্ত্রিক,
পেত্নীর চেলা, নেই তার কোনো বেলা-অবেলা,
বায়স্কোপে হ্যান্ডেল মারে, সযত্নে ধীরে, পাঁকা যান্ত্রিক।


বেশ বেশ, কাংগাল-বাংগাল নাঁচে আর গায়,
নিজের গাঁয়, পল্লীর বায়।
খেলা হবে বেশ!
পেত্নীর খেলা, রাজবাগানে-বাঁশবাগানে শেষমেশ।।


নড়াইল, ১৯শে অক্টোবর ২০২২