আঠারো তলার উপরে
প্রতিদিন এক লোক অফিসের কাজ করে।
সেদিনও ব্যস্ত ছিল তেমনি কাজে
সহসা বেজে ওঠে টেলিফোন মাঝে।
কানে নিয়ে রিসিভার বলে, হ্যালো, হ্যালো -
মর্মান্তিক দুঃসংবাদ কানে ভেসে এলোঃ
স্যার, বেঁচে নেই আর আপনার একমাত্র কন্যা
কিছুক্ষণ আগেই দুর্ঘটনায় মারা গেল বন্যা।


শোকাহত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় বন্যার বাপ
বারান্দায় ছুটে এসে নিচে দিল লাফ।
প্রচণ্ড বেগে দেহ নামে মধ্যাকর্ষণ তরণে
দ্বাদশ তলায় এসে প্রশ্ন জাগে মনে;
কে মরেছে কিভাবে? কেই এই বন্যা?
এই নামে, বা অন্য নামে আমার নেই কন্যা!


ভাবনার মাঝখানে এসে গেল অষ্টম তলায়
নিচের লোকেরা চিতকার শোনে তার গলায়;
হায়, হায়, কে করেছে সর্বনাশ এ খবর দিয়ে?
আসলে আমার আজও হয়নি যে বিয়ে!

দুইবার এ চিতকার, তারপর ভুমিতে ধপাস
ত্যাগ করে লোকটি অন্তিম নিঃশ্বাস।
ছুটে এসে চারিদিকে লোক হলো জড়
সকলেই বোঝে তার দুঃখ ছিল বড়;
এ জীবনে হয়নি তার সংসার-বিয়ে
আত্মহত্যা করেছে সে, সেই দুঃখ নিয়ে।