দেহ যখন অসুস্থ হয় মেপে দেখি তাপ
কখনও বা মেপে দেখি রক্তে কত চাপ।
এদের দুটির একটিও তো যায় না চোখে দেখা
তবুও এদের মাত্রা আছে, যা দিয়ে হয় লেখা।
সেই মাত্রা মাপার তরে আছেও এদের মাপক
মাত্রা এবং মাপকের কি নয় বেদনাও প্রাপক?


সকাল বেলায় হারিয়ে গেল কয়েক শত ডলার
মাপক খুজে পেলাম না তার বেদনাটা বলার।
গিন্নি বুঝে সেই বেদনা, সান্ত্বনাতে কয়
কয়েক শত ডলার মাত্র, এমন কিছুই নয়।
হতে পারতো অনেক বেশী, কিংবা বড় বিপদ
তার বদলে গেল না হয় সামান্য সম্পদ!


বেদনাটা কমলো কিছু; একটু পরে আবার
বেদনাটা দ্বিগুন হলো, বিষয়টা তো ভাবার -
ওই ডলারে টাকা হলে আত্মীয়ের এক ছেলে
তিনমাসেরও বেশী সময় চলত হেসে খেলে।
কত কষ্টে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে
লেখাপড়া চলছে যে তার অনেক অভাব সয়ে।
আরও বাড়ল বেদনাটা ভেবে দেখি যখন
গাঁয়ের বাড়ির প্রতিবেশী ভিখারিনির জীবন -
বছর খানেক ভিক্ষা ছাড়াই চলত পরা-খাওয়া
হারানো ওই সামান্যটাই হলে যে তার পাওয়া।
বেদনাটা কমলো শেষে খুশির অনুভবে
ভাবি যখন, যে পেয়েছে সে ঠিক খুশি হবে।


বেদনার এই তারতম্য মনেই থাকে চাপা
তাপ কিংবা চাপের মত হয়না যে তা মাপা।