ভুত ভুত শুনি সদা চোখে দেখি নাই
লোকে বলে নানা রূপে ভুত দেখা যায়।
অদৃশ্য থাকে - আবার অন্য রূপ ধরে
পদদ্বয় পড়ে নাকো মাটির উপরে।


তেমনি অদৃশ্য ভুত এলো এ জগতে
চীন দেশে স্থিত উহান শহর হতে।
পা ছাড়াই করে ভুত পৃথিবী ভ্রমণ
ধরে তারে যারে পায় যেথায় যখন।


যারে ধরে তার হয় মাথা ব্যথা, জ্বর
শুকনো কাশিতে দেহ কাঁপে থর থর।
মাংসপেশী, গিটে গিটে তীব্র ব্যথা হয়
ফুসফুসে বাসা বেঁধে খেয়ে করে ক্ষয়।


বৃদ্ধ যারা, প্রতিরোধ ক্ষমতায় কম
তাদের জন্যে এ ভুত প্রাণঘাতী জম।
যারে ধরে তার থেকে অন্যজনে যেতে
সুস্থজনে কাছে পেতে থাকে ওঁত পেতে।


ভুতে ধরা রোগী যেই দেয় কাশি, হাঁচি
সুস্থ কোন মানুষের যেয়ে কাছাকাছি
কিংবা রোগী দেয় যদি সুস্থজনে ছুঁয়ে
লাফ দেয় সুস্থজনে ভুক্তভোগী থুয়ে।


এইভাবে দিন দিন বেড়ে চলে রুগী
হাজারের প্রাণ যায় লাখে লাখে ভুগি।
নাই যদি মেলে ত্বরা এর সমাধান
কে জানে এ বিশ্বে শেষে কত যাবে প্রাণ।


দেশে দেশে রাজা প্রজা সকলেই ভাবে
এর থেকে মানবতা কিসে রক্ষা পাবে।
অভিজ্ঞ ডাক্তার আর যত আছে ওঁঝা
সকলের ব্যর্থ হলো চিকিত্সা খোঁজা।


সকলেই একমত - প্রতিরোধ চাই
দৈহিক দূরত্বে থাকা হয়ত উপায়।
আর যত কম হবে পথে চলাচল
প্রতিরোধে হতে পারে ভালো ফলাফল।


মানুষের চলাচল বন্ধ দেশে দেশে
নিজ নিজ ঘরে সবে রয় বন্দীবেশে।
বাঁচাতে সবার তার নিজ ফুসফুসি
বের হতে পরে নেয় নাকে মুখে ঠুসি।


হাঁচি, কাশি দেয়া চাই অতি সাবধানে
হাতের রুমাল বা তালুর মাঝখানে।
সাবান পানিতে ধোবে হাত ঘষে ঘষে
হাতে লাগা ভুত যেন ধুয়ে যায় খসে।


পুষ্টিকর খাদ্য চাই দেহে দিতে বল
মুক্ত বায়ু চাই, চাই বিশুদ্ধ গোসল।
আত্মার প্রশান্তি চাই, চাই বিনোদন
প্রার্থনায় শান্তি পাবে বিশ্বাসীর মন।


খেটে খাওয়া মানুষ আজ নিরুপায়,
কিভাবে বাঁচবে তারা বন্ধ হলে আয়?
তাদের পাশে দাঁড়ানো আজ দরকার -
যাদের আছে তারা ও সাথে সরকার।


সত্যি হোক মিথ্যা হোক - ভুত ছিল, আছে
পরাজিত হবে তারা মানুষের কাছে।
আজ নয় কাল যাবে এ করোনা-ভুত
পৃথিবীতে জয়ী রবে মানবের পুত।