দিয়েছিলাম এক কাগজে সেদিন বিজ্ঞাপন
হারিয়ে গেছে দেহের মাঝে ছিল যে এক মন।
হয়তো কোথাও চলার পথে হাজার রঙের ফুলে
মুগ্ধ হয়ে হারিয়ে গেছে আমার কথা ভুলে।


হয়তো কোথাও গভীর বনে পাখির মধুর গানে,
ঝর্ণা, নদী, সাগর জলের মধুর কলতানে।
হয়তো কোথাও পাড়া গাঁয়ের সরল নরনারী
হারিয়ে যাওয়া মনটা পেয়ে করছে কাড়াকাড়ি।


হয়তো কোথাও চপল চরণ ডাগর চোখের হরিণ
মনটা আমার লুকিয়ে বুকে কাটায় সুখে দিন।
হয়তো কোথাও পাগল বাতাস পথের ধুলির সাথে
উড়িয়ে নিয়ে চাঁদের দেশে গিয়েছে এক রাতে।


হয়তো কোথাও বউয়ের আশায় রাতজাগা এক পাখি
উড়ে গেছে লুকিয়ে বুকে, বউ কথা কও ডাকি।
ফাগুন ভ্রমর তপ্ত খরায় হয়তো চৈত্র শেষে
বৈশাখী ঝড় নিয়ে গেছে শ্রাবণ মেয়ের দেশে।


হয়তো কোথাও হারিয়ে গেছে মাঠের সবুজ ক্ষেতে
ফসল কেটে গোলায় তোলা চাষীর গানে মেতে।
মুক্ত হয়ে বর্ণ চোরা দেহের খাঁচা হতে
হয়তো সে মন হেঁটে চলে বাংলার পথে পথে।  


তাই কাগজে আজকে আবার দিলাম বিজ্ঞাপন
চাই না ফেরত আর কোনদিন হারিয়ে যাওয়া মন।
হঠাৎ যদি কেউ কোনদিন পাও সে মনের দেখা
দেখিয়ো তারে যা আছে এই বিজ্ঞাপনে লেখাঃ -


যেন কভু হারায় না সে এমন কারো হাতে
ব্যস্ত যে হাত ভাগ বসাতে গরীব দুখীর ভাতে।
যে হাত জ্বালায় সুখের ঘরে দুখের তপ্ত আগুন
বাংলা মায়ের মান হানে আর ঝরায় ভাইয়ের খুন।