পিতা ছাড়া সন্তানের জন্ম হয় না ভবে
জারজ কেন পিতৃনামহীন সন্তান তবে?
কাপুরুষ পিতা থাকে নিজ নাম লুকায়ে
প্রলোভন বা দাপটে মাতৃপেটে ঢুকায়ে।
সমাজে সে মায়ের থাকে দুইপথ খোলা
কলংকময় জীবন বা প্রাণের মায়া ভোলা।
সাহসী যে মায়ের বুকে আসে সন্তান
সমাজের গঞ্জনায় কাঁদে সে মায়ের প্রাণ।
সন্তানও সারাজীবন শুধু পায় ঘৃণা
কে ভাবে দোষ সন্তান বা মায়ের কি না?


বিধাতার যা বিচার ছেড়ে তার হাতে
তাদের বাঁচার অধিকার হোক সকলের সাথে।
যে সমাজ পারে না দিতে পিতার মুখোশ খুলে
তার নেই অধিকার হেয় করার পিতার প্রশ্ন তুলে।
মুখোশ পরা পিতা হোক সকলের ঘৃণিত
যোদ্ধা মা ও সন্তান হোক সকলের আদৃত।
রাষ্ট্র করুক এমন মা ও সন্তানে পুরস্কৃত
এক অবিভাবকের সন্তান সমাজে হোক স্বীকৃত।
এমন একটি মা কলংকে নিলে মৃত্যুশয্যা
সমস্ত মানবজাতির তা ক্ষমাহীন লজ্জা।
অসহায় মায়ের পাপ করে দিয়ে ক্ষমা
বিধাতা রেখেছে তার মর্যাদা জমা।
মহিমাময় মাতৃত্ব তাই থাকে না গোপন
মাতৃপদে মাথা নত করে যেন সমস্ত জন।


জারজ সন্তানের মাতা যদি অসতীই হয়
তার এক অসৎ পিতাও তবে সমাজেই রয়।
অসৎ পিতার যদি সমাজে অবাধ বিচরণ
অসতী মায়ে তার জীবন কেন দেবে বিসর্জন?
অসৎ বাঁচে দোষহীন, অসতী হলেই মরণ
একই কর্মের দুই ফল, সমাজের এ কী ধরন?
যে সমাজ ব্যর্থ যুগে যুগে অসতের বিচারে
সে সমাজ পূত হোক অসতীর বাঁচার অধিকারে।


পিতৃনামহীন সন্তান যদি জারজ সন্তান হয়
নিস্পাপ যীশুও তবে জারজ সুনিশ্চয়।
যীশু ও তার মা এ জগতে পূণ্যের যোদ্ধা
যুগ যুগ পৃথিবীতে পেয়ে যাবে শ্রদ্ধা।
কে জানে হয়ত বিধাতার ইঙ্গিত তাতে
জারজ ও তার মা যেন থাকে শ্রদ্ধার সাথে।