সবাই জানে লাল্টুমিয়ার বুদ্ধি ভারী বেজায়
আশেপাশের দশটা গাঁয়ে সাধ্য কাছে কে যায়?
এসএসসিতে সাত পরীক্ষা, অঙ্কে শেষে লেটার
এমন পাঁকা পাশ করে কেউ থাকে কী আর বেকার?


চাকুরীতে কী মেলে কারো এমন মেধার দাম?
তাই ভেবে সে শুরু করে দলিল লেখার কাম।
টিপের খেলা, সইয়ের খেলা, গাঁয়ের কজন বোঝে?
তাই তো দলিল লিখতে হলেই সবাই তাকে খোঁজে।


জলিল, কালু বুঝবে কী আর লাল্টুমিয়ার ধোকা?
লাল্টুমিয়া জমির মালিক তারাই শেষে বোকা।
এমনি করেই লাল্টুমিয়ার ভাগ্যে বৃহস্পতি
তার পথে কেউ বাধ সাধলেই কবরটা তার গতি।


লাল্টুমিয়ার অনেক জমি, এখন অনেক টাকা
দেশের সেবা করা ছাড়া বুকটা লাগে ফাঁকা।
তাই তো এবার মনোনয়ন কিনলো টাকার চোটে
দেশের সেবা করবে বলেই দাঁড়িয়েছে ভোটে।

লাল্টুমিয়া স্বপ্ন দেখে - জেগে কিংবা ঘুমে,
ভোটে জিতে প্রধান মন্ত্রীর পদযুগল চুমে।
প্রধান মন্ত্রী খুশী হয়ে মন্ত্রী বানায় তাকে
আদর করে প্রধান মন্ত্রী কাল্টু বলে ডাকে।


লাল্টুমিয়া আনন্দে হয় হেসে কুটি কুটি
প্রধান মন্ত্রী কাল্টু মিয়া - কী আদর্শ জুটি!
লাল্টু মিয়া বক্তৃতা দেয় হাত নেড়ে সংসদে
“দেশটা আজি ধ্বংস করে গুটি কয়েক বদে
প্রগতি চাই, উন্নতি চাই, দেশে গণতন্ত্র চাই
বিরোধী দল শত্রু তার, ওদের মারা যন্ত্র চাই।”


লাল্টুমিয়ার হাতের ঘায়ে বউ-এর নিদ্রা ভাঙে
হাতের ঘড়ির আঘাতে তার কপালখানা রাঙে।
বউ বলে, “হায়! ঘুমের মাঝেও কি যে তুমি কর
দেশের মানুষ দেশের মানুষ করেই তুমি মর।”


লাল্টুমিয়ার ঘুম ভাঙে তো ভাঙে নাকো রেশ
লাল্টু মিয়া মন্ত্রী হলে ধন্য হবে দেশ!