আমি বারে বারে
হারাই অন্ধকারে।
আঁধার যখন চতুর্দিকে
তোলে বাধার প্রাচীরটিকে
দৈত্য হাসে অট্টহাসি
ভয়ে নয়ন জলে ভাসি
আলোর আধার তুমি তখন
প্রদীপ ধরো দ্বারে।


আঁধার মাঝে পথ হারালে
কাঁটার পথে পা বাড়ালে
জোনাক তুমি ক্ষণিক জ্বলে
আবার নিভে যাও গো চলে
সেই আলোতে ক্ষণিক দেখি
সদাই খুঁজি যাঁরে।


মেঘের 'পরে জমে যখন মেঘ
আঁধার দেখে বাড়ে যে উদ্বেগ।
আঁধার চিরে আলোক এসে
বিজলি হয়ে ওঠো হেসে
বুঝি তখন আছো তুমি
মেঘের ওপারে।


আলো আঁধার এই না এলে
আলো খোঁজার কাজ না পেলে
বুকের কাছে জীবন ধরে
অলস সময় কেমন করে
কোন রাগিনি বাজিয়ে যেতাম
মনোবীণার তারে!