একটা গ্রামে ছিল একজন অতি বৃদ্ধ লোক
জীবনটা তার দুঃখে ভরা - করতো সদাই শোক।
যারে পেতো তারেই ধরে করতো অভিযোগ;
তার জীবনেই আসে কেন সমস্ত দুর্ভোগ?


যে যখনই দেখতো তারে, দেখতো চোখে জল
হা-হুতাশ আর কান্না কাটি চলতো অনর্গল।
যাদের তেমন দুখ ছিল না, কাঁদতো তারাও দুখে
তাই আর কেউ ইচ্ছা করে পড়তো না সম্মুখে।


থাকতো পড়ে একাই সেজন গাঁয়ের একটি কোণে
সবাই তবু দূর থেকে তার কান্না কাটি শোনে।
এমনি করে যেদিন হলো বয়সটা তার আশি
হঠাত সেদিন শুনলো সবাই বুড়োর অট্টহাসি।


একি কাণ্ড? একি কাণ্ড? দুঃখী বুড়ো হাসে
কারণটা কী দেখতে তখন গাঁয়ের সবাই আসে।
দুখের কোন চিহ্ন ছাড়াই মনের সুখে হেসে
জনমদুখী বুড়োটা যায় সুখ-সাগরে  ভেসে।


সবাই তখন বুড়োর কাছে একই প্রশ্ন করে,
সুখ কেমনে পেলে বুড়ো এতোদিনের পরে?
বুড়ো বলে সারাজীবন গেলাম শুধু কেঁদে
সুখ এসো গো, সুখ এসো গো, এই সাধনা সেধে।


সুখ এলো না, সারাজীবন কাঁদাই হলো সার
ভাবলাম তাই সুখের জন্যে কাঁদবো নাকো আর।
সেই কাঁদাটা আজ আশিতে যেই করেছি বন্ধ
কেমন করে কোথা থেকে এলো সুখ-আনন্দ!