ইসলামে পাঁচটি খুঁটির একটি হলো যাকাত
দরিদ্রের না কাটে যেন ক্ষুধায় দিন ও রাত।
তাই ধনীর যা সারা বছর উদ্বৃত্ত সঞ্চয়
আড়াই শতাংশ তার যাকাত ফরজ হয়।


থাকলে নারীর সজ্জা তরে দামী অলংকার
প্রতি বছর একইভাবে যাকাত হবে তার।
হিসাব মতো যাকাত দেবে ব্যবসায়ী মূলধনে
ফসল, পশুর যাকাত দেবে ধনী চাষীগণে।


বছর শেষে হিসাব কষে যাকাত যা হিসাবে
আত্মীয়, পর গরিব দুখী সেই পরিমান পাবে।
সম্পদ যার, দায়িত্ব তার - করবে বিতরণ
করুণা নয় - গরিব দুখীর ন্যায্য পাওনা ধন।

সত্পথে যা অর্জিত হয়, এই যাকাতই তাকে
অন্যের পাওনা মিটিয়ে দিয়ে পবিত্র করে রাখে।
যাকাত ফরজ হবে যখন, না হয় যদি আদায়
সব সম্পদ মেশে যেন নাপাক, নোংরা কাদায়।

ভাবতে পারো যাকাত দিলে সম্পদ যায় কমে
আল্লাহ বলে, সম্পদ বাড়ে যদিও মরো ভ্রমে।
অর্থনীতির পন্ডিত এর সঠিক অর্থ বোঝে
বাজার-মন্দা কাটাতে তাই অর্থ-বন্ঠন খোঁজে।

যাকাত ছাড়াও ধনীর ধনে আছেই অধিকার
গরিব যারা সে ধন পেয়ে খেয়ে পরে বাঁচার।
তাই আরও চাই দান বিতরণ যেমন হয় সামর্থ
নইলে ভেবো রাখলে ঘরে পরের সম্পদ-অর্থ।

পরের সম্পদ নিজের ভোগে হয় না কভু ধর্ম
বকধার্মিক যতই করো লোক দেখানো কর্ম।
যাকাত এবং দান-বিতরণ থাকলে সমাজে
নির্ধন-ক্ষুধার্ত কেউ কি ঘোরে চুরির কাজে?

যাকাত এবং দান-খয়রাত যে সমাজে চলে
সেই সমাজে সবাই খুশী, ইসলাম তাই বলে।
হিসাব মতো যার যা যাকাত এসো করি আদায়
পাওনা যাদের - গরিব দুখী - তারা যেন তা পায়।


যাকাত যখন ফরজ হবে, না হয় যদি আদায়
আল্লাহ সাড়া দেয় নাকো আর নামাজ-হজে কাঁদায়।
তাই কোরানে নামাজ-যাকাত একই বাক্যে বলে
গরিব ভুলে উপাসনায় খোদার প্রেম কি চলে?
-----------------------------------
** 'ঐশী আলোর ছটা' কাব্যগ্রন্থের জন্যে