বাঁশি আর বাজিল না শাঁখে,
পুষ্পশূন্য আঁধারে
শরৎও চলিয়া যায়-ধীরে,
হেমন্তের ডাকে-
পিছু নাহি ফেরে।


মৃত্যুর কান্নায় চোখ সমুদ্র- দেখে,
পরিচিত শব্দের আর্তনাদে-
ঘুম ভেঙ্গে যায়,
স্বতন্ত্র প্রকৃতি পড়ে থাকে-
নীরবতার স্তব্ধ ডালে,
মিনতি করে ডেকে বলে-
তুমি কি আর একটি বার
তোমার নীল চোখের কাজল দেবে?
অথবা সুর?
না হয় কোমল ঠোঁটের স্পর্শ  দিও।
আর ক্লান্ত হলে
সমাদরে মাথা রেখো নিশ্চিন্তে।
তবুও চলে যাবে?
জানো তো,
পুরুষের অপেক্ষা করার ইচ্ছা থাকলেও
সাধ্য থাকে না।


তারপর কণ্ঠের মায়ায়
পড়ে থাকা-জীবন্ত জীবন
হারিয়ে যায় জীবন থেকে,
ওপারে শিকল বিহীন মানুষ চলিয়া যায়,
বেলা ফোরাবার আগে,
এক পাহাড় অভিমান ফেলে,
পেরুবার সাধ্যও নেই কারো;
ওগো প্রিয়,
তুমি মানুষ হারালে?