নিরুত্তর ম্যাগাজিন


ভোর পাঁচটা চল্লিশ কি পঞ্চাশ।
উত্তরের মৃদু বাতাসে- দারুন অনুভূতি।
শিশিরের তেজী পাপড়ি
স্বাধীনতায় দুলছে-
ভোর হবার আনন্দে।


পাখিদের কোলাহল নিরব সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে।
শালিকগুলো জীর্ণ নীড়ে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত,
তারা ভীষণ মধ্যবিত্ত!


রাস্তায় খেটে খাওয়া
দু-একজন মানুষের  আনাগোনা মিলছে।
কেউ মাঠ থেকে তাজা প্রাণ নিয়ে যাচ্ছে-
বিনিময়ের বাজারে।


পুবের আকাশ
নিরন্তর কাশফুলের ঝলকানিতে হারিয়ে গেছে,
কোথাও-অভিমানের পদচিহ্ন,
কোথাও-কালো মেঘে ছেয়ে গেছে ধ্বংসযজ্ঞ,


কোথাও ঝড়ের মুখে
বাবুইয়ের ছানা-পড়ে থাকে নর্দমায়,
হিংস্রতার জীবন সংগ্রামের বৃথা হাহাকারে
হারিয়ে যায় জীবন থেকে।


কোথাও-ভয়ংকর কবিতা ঠোঁট ছুয়েছে ব্যথায়।
কোথাও-বিকৃত মস্তিষ্ক
শিকর ভুলে গেছে।
কোথাও-স্তব্ধ মানব হৃদপিন্ডের রক্তে
জীবন বেঁধেছে অনিশ্চয়তায়।


কোথাও-দূষিত বায়ুর
অপ্রাকৃতিক বধ্যভূমি,
সেখানে সূর্যের দেখা নেই,
বহুদিন ধরে একাকার।


কোথাও-
হাসপাতালের বেডে-
জীর্ণ মায়ের মুঠোচাপা হাসি,
ওপাশে যন্ত্রণার কণ্ঠস্বর।


কোথাও-সভ্যতার খোঁজে -
শতাব্দীর পর্যবাষানের
ভীষণ মিনতি।
কোথাও গ্রেনেডের সাথে
প্রকৃতির অভিযোজনের মহা উল্লাস!
কোথাও বৃক্ষহীন স্তব্ধ  শিশুর-
চোখ ঝাঁঝালো নিষ্পাপ আত্মচিৎকারে ভেসে আসে-
অভিযোজন আমি এখানে!


কোথাও-বসন্তে মায়ার ভীষণ বর্ষা,
তারপর সন্ধ্যা।