কলঙ্ক যার সর্ব অঙ্গে
তারে ভালো বাসতে কি ক্ষতি,
তোমারে আমারে বন্ধু
বানাইছে জগৎ পতি।


আমি না হয় রং কালিয়া
তুমি বন্ধু শ্বেত বরন,
রঙে বিচার আজকে করো
কাল সবারই হবে মরন।


যমে কারো বন্ধু নয়
এই কথা রাইখো মনে,
কেন ওগো রাই ললনা
প্রেম নাই নিঠুর পরানে।


ব্যাথা দিলা প্রানে সইলো
আত্মা যেনো সইবে না,
তুমি আমার জীবন জুড়ে
অমীমাংসিত এক ধাধা।


ছলনা আজ শিখছে শ্যামে
শিখাইলা তুমি নিভৃতে,
শ্যামের বাঁশি বাজবে না আর
ললিতা তুই জানাস রাইকে।


জাত মান কূল সব তোর যায়
পোড়া মোর এই বাঁশি তে,
বংশি আর বাজাবো না
সব কিছু ফিকে মধুর তোর হাসিতে।


ব্যার্থ কানাই পায়নি রাধে
জীবনভরা সংগ্রামে,
রাইয়ের ব্যাথা ঘুচবার গো নয়
শ্যাম তা ভালোই জানে।


শ্যামের ত্যাগের এই মহিমা
পায় কেবলই ভর্সনা,
রাইশ্যামের মিলিত তনু
নদের চাঁদের যন্ত্রনা।


অশ্রু ঝরে চাঁদ বদনের
শুধু মিলনের বাসনা,
খানিক শ্যাম খানিক রাই
শুধুই যুগল প্রার্থনা।


হরে কৃষ্ণ মহা মন্ত্র
বিলায় জনে জনে,
যুগল বিনে চায়না কিছু
তেজস্বীর প্রানে।


ধুলায় লুটায় কে দেখে হায়
শ্রী চৈতন্যর প্রানের ব্যাথা,
খানিক শ্যাম খানিক রাই
কলির পরি ত্রাতা।