নিধুবন


আমার তনুর শিহরণে, হোক
তোমার হৃদয় স্পন্দিত অনুক্ষণ।
আধছেঁড়া রুটির মত গতস্য পূর্ণিমা চাঁদ,
কৃষ্ণপক্ষের অহর্নিশে- বালির বাধের মত
ক্ষয়ে যেতে থাকে ধীর লয়ে।
চরের জোৎস্নায় জলছাপ-ফাঁক-আঁধার,
সিক্ত ঘাম; জলকেলী, জমাট সুখ-আর
নিধুবনে রিক্ত আর্দ্র ভরাট মুখ।
আলোর ছায়া আঁধারে নিমগ্ন !
তর্জনী- মধ্যমা- অনামিকা---
কখনো দ্বৈত অথবা একা; এক, দুই,
একটু –একটু ; ভরা জোৎস্নায়- নগ্ন--
তামাটে মাটি খুড়ে নিংড়ানো রস,
দূরত্ব - কন্যা থেকে কালপুরূষ,
এরপর অমাবশ্যা থেকে পূর্ণিমা,
তারপর ব্যবধান- ওষ্ঠ আর অধর--
জলাঞ্জলি, অবগাহন অতঃপর নীথর।


ওয়াজিদ
আনন্দ থাকুক ছড়িয়ে