অশনি আঘাতে ফালাফালা হল
সাঁঝের আঁধার বুক,
জলোচ্ছ্বাসের অট্টহাসিতে
বাঁধভাঙা এক সুখ।
উদ্দাম গতি প্রবল পবনে
বিভীষিকা দেখি আজ,
কল্যানময়ী জননী তোমার
এ কি পাগলিনী সাজ!
ঝড়ের দাপটে দিশাহারা হল
মহীরূহদের দল,
ওই বুঝি এল শূলের আঘাত
কম্পিত প্রতি পল।
উড়িয়েছ ধূলা,আঁধার করেছ
গোধূলিবেলার আঁখি,
জলদ মন্দ্রে শাসন করেছ
পৃথিবীর যত ফাঁকি।
কল্যানী আজ রুদ্রানী হয়ে
এসেছে রুদ্র রোষে,
শূলাঘাতে তার সৃষ্টি এবার
ধ্বংস কি হবে শেষে???
প্রলয় সময় এল বুঝি আজ
জীবকূল কাঁপে ভয়ে,
আপন খেয়ালে রুদ্রানী আজ
মেতেছে সৃষ্টি লয়ে।
শঙ্খ নিনাদে ডাকছে সকলে--
ত্যাগ করো মাগো ক্রোধ,
আমরা তোমার সন্তান মাগো
আমরা যে নির্বোধ।
আঘাতে আঘাতে বেদনার ক্ষত
যা দিয়েছি ঐ মনে,
সেসবের তরে মার্জনা চাই
নিষ্ঠুর এই ক্ষণে।
বৃষ্টি ধারাতে স্নেহ সুধা যেই
ছুঁলো এই ধরাতল,
রুদ্রানী মাতা কল্যানী হয়ে
যোগালো মনের বল।
শঙ্কা ভয়ের পরপারে গিয়ে
এ কি দেখলাম আজ!
রুদ্রানী রূপে মমতাময়ীর
এ কি অপরূপ সাজ!