সারারাত কেঁদে শান্ত হয়েছে
অভিমানী সেই মেয়ে,
সিক্ত হয়েছে অচলা পৃথিবী
উষ্ণ পরশ পেয়ে।
তিলে তিলে মনে জমেছিল তার
কালমেঘ রাশি রাশি,
আলতো আঘাতে অশ্রুর স্রোতে
হল তাই বাণভাসি।
জননী 'বসুধা' নীরবে শুনেছে
ব্যাথাভরা সেই সুর,
কুহকিনী রাতে সুরের যাদুতে
নিকট হয়েছে দূর।
আকাশের মেয়ে যতই কেঁদেছে
'বসুধা' মুছেছে জল,
নয়নের জলে একাকার হয়ে
প্লাবিত হয়েছে স্থল।
ভেসে গেছে জলে খাল,বিল,নদী,
নগর,শহর,গ্রাম,
নিজেকে ভিজিয়ে 'বসুধা' দিয়েছে
চোখের জলের দাম।
মমতা মাখানো সান্ত্বনা বাণী
বলেছে বারংবার,
তবুও থামেনি মানিনী মেয়ের
অশ্রুর পারাবার।
ঝরিয়ে সকল নয়নের জল
এখন হয়েছে সারা,
স্বপ্নের দেশে গেছে অবশেষে
থেমেছে অশ্রু ধারা।
এদিকে 'বসুধা' জল থইথই
প্লাবন এসেছে বুকে,
ভেসে গেছে সব,তবুও নীরব
অশ্রু মোছার সুখে।


কুয়াশা