নীরব রাতের আঁধারের মতো ছলনার কলরব,
গিলেছে আমার আলোকদীপ্ত সকাল,দুপুর সব।
অন্ধকারের পঙ্কিল পথে কোথাও পাইনি আলো,
পেয়েছি শুধুই জ্যোৎস্নাবিহীন অমাবস্যার কালো।
ভাবতাম মনে উজ্জ্বল ঐ সূর্যের দিকে চেয়ে,
ধন্য হবে কি আমার আকাশ কখনো তোমাকে পেয়ে?
অকৃপণ ওই আলোক বৃত্তে আমার কি হবে ঠাঁই?
জানি আমি অতি নীচ্,অভাজন তবুও তোমাকে চাই।
প্রতি রাতে হেথা রোশনাই চলে,তবু আলো নেই মনে,
পৃথিবীর যতো কালো রাতগুলো জমেছে ঘরের কোনে।
মৃণ্ময়ী মাতা দুর্গার দেহে লাগে এখানের মাটি,
লোকে বলে সব শুভবোধ মিশে এ মাটি হয়েছে খাঁটি।
এ আঙিনা সব শুভত্ব গিলে পাপকে ঠেলেছে ঘরে,
তাইতো এ মাটি অপরিহার্য প্রতিমা গড়ার তরে।
ছবিতে সাজানো দেবতার বুঝি সত্যিই ছিল প্রাণ,
আমার জীবনে শুধু তুই তাঁর সবচেয়ে বড় দান।
আঁধার আকাশে একদা হল যে সূর্যের আগমন,
তার পরিণামে জেগেছিল মনে সুগভীর আলোড়ন।
তুই নোস্ কোনো ফুর্তির ফল,জারজ বংশজাত,
জানি আমি তোর জৈবিক পিতা কি নামেতে আজ খ্যাত!
সে সময় কত স্বপ্নের বীজ প্রোথিত ছিল এ মনে,
চুরমার হল সেসব স্বপ্ন বাস্তব প্রতিদানে।
এ দেহে তখন সৃষ্টির বীজ,জীবনের স্পন্দন,
আগামীতে যার ভাগ্যলিপিতে আছে শুধু ক্রন্দন।
তবুও পারিনি নিজের সৃজনে হানতে কঠোর বাজ,
তার পরিণামে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছিস আজ।
পত্নী অথবা গৃহের লক্ষ্মী কোনোটাই নই আমি,
দেহপসারিণী সকলের চোখে নরকের পথগামী।
কি করে এলাম নরকের দ্বারে ভেবেও দেখেনা কেউ,
দেখলেই যেনো গায়ে এসে লাগে অশ্লীলতার ঢেউ!
পাপের পঙ্কে পোঁতা ছিল এক রমণীর অধিকার,
প্রতিদিন তাকে টানছিল নীচে মানুষের অবিচার।
হিসাবের খাতে শূণ্যতা ছিল,তবু সে অমোঘো টানে,
দেহপসারিণী হল সে জননী সন্তান অভিমানে।
হয়তো বলবি নিষ্ঠুর আমি ভেবেছি নিজের কথা,
হয়তো ভাববি ভেবেও দেখিনি ভবিষ্যতের ব্যথা।
ঘৃণায় হয়তো চলে যাবি দূরে,আমি বারবধূ বলে,
হয়তো ফিরেও আসবিনা কভু এই অভাগীর কোলে।
হয়তো ভাববি কলঙ্ক পাঁকে জড়ালাম কেন তোকে?
হয়তো কষ্টে ফেটে যাবে বুক রাগে,দুঃখে ও শোকে।
কিন্তু তবুও আমার হৃদয়ে কোনো খেদ নেই আর,
মাথা উঁচু করে যখন আজকে দেখি তোকে বারবার।
বিশ্বাস কর এ হৃদয়ে শুধু স্নেহের ফল্গু ধারা,
আজো বয়ে চলে দুকুল ছাপিয়ে তেমনি পাগল পারা।
করবি কি ক্ষমা কোনোদিন তুই?ডাকবি কি বলে মাতা?
পূর্ণ হবে কি বারবণিতার শূণ্য জীবন খাতা??????


কুয়াশা