দুই-ধারে কাশ বন- দেখি সারি সারি-
আরো দেখি সুন্দরী- অপরূপা নারী-
সে-নদির তীর দিয়ে, ছুটে আমি চলি-
আজো তাই চোখে ভাসে-সেই দিন গুলি।

কাশ বন, সাদা রং, মধুর স্মৃতি-
সে স্মৃতির বুক জুড়ে মিশে আছো তুমি-
মনে পরে ছেলে-বেলার মধুর স্মৃতি।
সে-নদির পারে ছিল, সাদা মাখা-মাখি।

দুই-ধারে কাশ-বন, হাতে আঁকা ছবি-
অপরূপা সাজে নদি- সেজে আছে দেখি-
নদিতে জোয়ার এলে, নৌকা ভাসে-
মাঝি গায় ভাটিয়ালি- আপন সুরে।।

মাঝি তুমি এক-বার ফিড়ে আস তীরে-
ঐ-পারে যেতে হবে, পার কর মোরে-
প্রিয়তমা আছে বসে, অপেক্ষা করে-
কখন ফিরব আমি, সেই পথ চেয়ে।।

চারিদিকে মেঘদুত দিন কালো করে-
ঝড় হাওয়া বৃষ্টি আসিতেছে তেড়ে-
মাঝি তুমি ফিড়ে আস, নৌকা ভিড়ায়ে-
যা চাও তাই পাবে, পার কর মোরে।।
  
অবশেষে মাঝি ভাই, তীরে এলো ফিড়ে-
ভেজা কাক হয়ে ঢুকি, ছৈয়ের ভিতরে-
টুপ- টাপ বৃষ্টি, ঝড়- তুফান বয়ে-
মাঝি ভাই নিয়ে এলো- নদির ঘাটে।।

ধন্যবাদ, মাঝি ভাই- পার করেছে মোরে-
নৌকা ভিরায়ে- দিয়ে, নামাও আমারে-
সারা-বেলা শেষে দেখি, প্রিয়া আছে বসে
মন আমার ভরে যায়- কাছে তারে পেয়ে।।