চতুর্দশী মেয়ের ছিল মুক্ত ঝরানো হাসি
বিকেলের হাওয়া দুলত মগজে
করত আঁকা জুকি।
অবাক আমি ভীষণ সেদিন
মেয়েটির মাকে দেখে,
আজব আজব কাণ্ড করে
মেয়েটির হাসি ঠোঁটে !
ছোট্ট মেয়েটি কিশোরী ছিল
তবু হলো নাতো রক্ষা,
বাল্যবিয়ের অবাধ শাসনে
জীবন হবে যক্ষা
মেয়েটি এখন ভীষণ খুশি
দু হা‌তে চুড়ি নাকে নাকফুল
বেণিতে বাঁধে সুগন্ধী ফুল ।
লেখা পড়া তার তুচ্ছ অ‌তি
সে য‌ে মস্ত ভুল।
নিজের খুশিতে প্রাণটা দিলি‌রে
ওরে ও অবুঝ শিশু ।
বাবা মা তোর গোয়ার গোবিন্দ
কি লাভ পড়িয়ে শুধু টাকা ক্ষয়
না হয় দেব লাখ টাকা কয়।
সারা জীবনের পড়ার খরচ
দিলাম না হয়, যৌতুক করে
ও রে ও হিংস্র হা‌য়েনা বাবা মা
মর‌লি নিজেরা মারলি তাকেও।
ভাবলিনা এই সমাজের কথা
কেমনে এগুবে নারী জাতি বল
জাতির কর্ণধর।
চতুর্দশী কন্যা হল সনদের অষ্টাদশী
কী করে রুখবে বাল্যবিবাহ
প্রকৃতির বাঁকা হাসি