আর কতো কাঁদাবে !
আর কতো পোড়াবে আমায় !
আর কতো জ্বালাবে আগ্নেয়গিরির লেলিহান অগ্নিশিখায় !
আর কতোটা পথ তপ্ত মরুপথে হাঁটলে খুলে দিবে হৃদয়ের ব্যারিকেড !
আর কতোটা দুঃখের সাগর পাড়ি দিলে কাছে এসে ভীড়াবে তোমার তরী !
আর কতোটা বিরহের কবিতা লিখলে থামিয়ে দিয়ে বলবে যথেষ্ট হয়েছে এবার লিখতে থাকো মনের মাধুরি মিশিয়ে প্রেমের কবিতা !
তোমার পাষাণ হৃদয়ের মান ভাঙাতে,
আর কতো ব্যথা পেতে হবে আমায় !
আর কতো রাতজাগা পাখি হয়ে অবিরাম ঘুরতে হবে তোমার আঁখি সম্মুখে !


অনুভবে অনুভূতিতে উপলব্ধি করছো সবই,
তবুও,  তা দেখেও না দেখার ভান করে আছো তোমার পাষাণ  হৃদয়ের ছলনায় !
মনের নিদারুণ কষ্টে একের পর এক বিরহের কবিতায় সিক্ত হচ্ছি অবিরত,
তুমি পাঠ করছো নীরবে বারবার,
উপলব্ধি করছো প্রতিনিয়ত আমার যন্ত্রণা !
তবুও, তুমি নিস্প্রাণ,ভাষাহীন !


আমার জ্বলন্ত হৃদয়ের করুণ  আর্তনাদের আর্তচিৎকার প্রতিধ্বনিত হয় বারবার তোমার কানে গভীর অনুতাপে,
তবুও তুমি নীরব, নিস্প্রভ, নির্দয় !
তুমি ভীষণ পাষাণ , পাষাণ তোমার মন !
কাঁদাবে আমায় সহস্র বছর,
করেছো যেন তুমি পণ !
জেনে রেখো পাষাণপুরীর পাষাণী
অসহনীয় বিরহ ব্যথায় যদি কভু আসে আমার মরণ,
হাসি মুখেই করবো বরণ,
এই মরণে আমার নেই কোন বারণ ।