গোপাল গঞ্জের টুঙ্গিপাড়া
সবুজ শ্যামল অজো পাড়া গাঁ,
উনিশ শতো বিশ সালের সতেরই মার্চে
ঐ গাঁয়েতেই জন্ম হলো ফুটফুটে এক শিশুর,
পিতা মাতা আদর করে নাম রাখলেন মুজিবুর।


স্কুল জীবনেই দেশ ভাবনা,
মানবিক মনে প্রতিবাদী চেতনা,
কৈশোর বয়সেই রাজনৈতিক বিচক্ষণতায়,
নজর কাড়লেন হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীদের।


নেতৃত্বগুনে ধীরে ধীরে এগুতে থাকলেন স্বমহিমায়,
সময়ের বিবর্তনে স্থান করে নিলেন
বাঙালি হৃদয়ের মণিকোঠায়,
সাত কোটি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে
নেতৃত্ব দিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।


সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনে
বলে গেলেন অবলীলায়,
আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি,
তোমাদের যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে,
ঝাঁপিয়ে পড়বে শত্রুদের মোকাবিলায়।
জালিমদের ফাঁসির কাষ্টে দাঁড়িয়েও,
মাতৃভূমির ভালোবাসায় ইস্পাত কঠিন মনোবলে,
পাকিস্তানীদের শত প্রলোভন করলেন উপেক্ষা।


এভাবেই শত সংগ্রাম আর শত ঝঞ্জাল মোকাবেলা করে,
বাঙালির ভালোবাসার প্রতিদান পেলেন,
জাতির পিতা,বঙ্গবন্ধু উপাধিতে।


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দক্ষ নেতৃত্বে,
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে,
আমরা পেলাম কাঙ্ক্ষিত সেই লাল সবুজের পতাকা।


দেশ হলো স্বাধীন,
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করলেন নিজেকে,
দেশ স্বাধীনের সাড়ে তিন বছরের মাথায়,
বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা মুছে দিতে
দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র আর কতিপয় উচ্চভিলাসী সেনাকর্মকর্তা নামক কুলাঙ্গারদের নীল নকশায়,
পনেরই আগষ্টের কালো রাত্রিতে
প্রাণ হারালেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,
বাঙালির রাখাল রাজা,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে,
পিতা তোমার স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ,
বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় দাঁড়িয়ে।
স্বাধীন বাংলার সুনাগরিক হিসেবে,
সবুজ শ্যামল স্বাধীন বাংলাদেশের আলো বাতাসে বেড়ে উঠে,
তোমার ঋনের জালে আজ আবদ্ধ,
এই ঋণ পরিশোধের কোন ক্ষমতাই নেই যে আমাদের।
সতেরই মার্চে পিতা তোমার জন্মশতবার্ষিকীতে জানাই,
হৃদয় নিংড়ানো গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।