তুমি যবে এসেছ নীরা, সেই থেকে কবিতার আকাল চলে গেল,
তোমাকে ভাবতে গেলেই আমার কবিতা আসে স্রোতের ন্যায়,
বাধ ভাঙ্গা জলের মতো উথলে আসে কবিতা।
কত লিখেছি দেখেছ?
সব কবিতা তোমার জন্য, সব ছন্দ তোমার জন্য,
সব পংক্তি তোমার জন্য, সব বর্ণ তোমার জন্য,
সব শিরোনাম তোমার জন্য,
সব অক্ষর কুড়িয়েছি তোমার জন্য।
কবিতার ডালি সাজিয়ে রেখেছি তোমার জন্য।
তোমার আধো ঘুমন্ত নরম মুখ, যতবার দেখেছি,
ততবারই তুমি এসে গেছ  আমার কবিতার বুকে,
তোমার একফোঁটা চোখের জল দিয়ে হয়েছে দশ টা কবিতা,
আরও ক টা রেখেছি অসম্পুর্ন, শেষ স্তবক শুধু বাকি।


তুমি আরও বহুকাল থেকে যাও নীরা,
আমার চোখের সামনে দাঁড়িয়ে, ক্লান্ত হয়ে গেলে চেয়ারে বস,
তবুও আমার মুখোমুখি থাকো, তীরের ফলার মতো তীক্ষ্ণ হয়ে থাকো।
তোমার মুখোমুখি, কবিতার খাতা নিয়ে হাটু গেড়ে বসি।
তোমার সর্পিল , ঢেউ খেলানো ঘন কালো কেশ,
তার ভিতর বুদবুদ করছে পাঁচশত কবিতার বীজ।
তোমার কারুকার্য শোভিত সেই মুখ, সেই হাসি,
সেই মুখ খুদে খুদে বেরুবে আমার তিনহাজার কবিতা।
নীরা শুধু আমার কবিতার জন্য থেকে যাও অবিরাম,
তোমার বুকের ভিতর জমে আছে আমার,
অপ্রকাশিত গোটা দশ মহাকাব্য।
সুনীল তোমার নীরার মতো,
আমার নীরা যেন আমার কবিতার উপজীব্য।


(চলবে)