ইউনিট নম্বর এক
(মেডিসিন)
বেড নম্বর আটত্রিশ
(পুরুষ ইউনিট)
রংপুর মেডিকেল।
যার কথা বলছি
সে রোগী আমার কোন
স্বজন নয়।
আমার স্বজনের পাশে
মৃত্যুর মুখোমুখী,কিন্তু-
আমি ভাবিনি
এতটা সম্মুখে মৃত্যু তার!
তার প্রজন্মের প্রচেষ্টা
বিজ্ঞ ডাক্তারদের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
সব কিছুকে একপাশে
রেখে-হতভাগা
দেখিয়ে দিলেন-
জন্ম গ্রহণ করার প্রকৃত অর্থ
মৃত্যুকে বরণ করা।
প্রকৃত অর্থে
এই বাস্তবতার মধ্যে
আমার দৃষ্টিকে
সীমাবদ্ধ রাখতে পারিনি।
তার উপস্হিত স্বজনের
চোখে দেখেছি
হীরের টুকরোর
মত জল।
শেষবারের মত
ডাক্তার যখন তার
বুকে স্টে'থস্কোপ
বসালেন এবং
শোনালেন তার
বিদায় বারতা -
তখন তার সঙ্গিনী
কান বুকে
রেখে পরীক্ষা
করে নিলেন
সঙ্গীর  হৃদস্পোন্দন।
তারপর শেষবারের
মত তার ঠোঁটে এবং
কপালে এঁকে দিলেন
চুম্বন।
এতটা মমতা মাখা চুম্বন
এত ভালোবাসা তাতে
অামি আমার চোখের
জল-
আড়াল করলাম।
পাছে আমার
শয্যাশায়ী স্বজন
বুঝতে পারে
এই ভয়ে।