আমি ও রবীন্দ্রনাথ
আমরা দুজনেই গিয়েছিলাম বলধা গার্ডেনে
রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হয়েছিলেন ক্যামেলিয়ার সৌন্দর্যে
তাই শংকনদ-পুকুর পারে
দাঁড়িয়ে থাকা জয় হাউজে বসে লিখলেন তার-
অমর কবিতা "ক্যামেলিয়া"।
রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন
সাহিত্যিক,বৃক্ষপ্রেমিক,বলধা স্টেটের জমিদার
নরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরীর নিমন্ত্রণে
আর আমি বিশ টাকা টিকেট কেটে ঢুকেছি
সিবিলী অংশে-
সাইকীতে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ
এখানে আমি দেখলাম-
সূর্যঘড়ি
শংকনদ-পুকুর
জয় হাউজ
ফার্ণ হাউজ
বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছরা
আর এই পড়ন্ত বিকেলে
কান জুড়ালো পাখির কলতানে।
বিচিত্র বকুল পাইনি খুঁজে,দেখা হলো না
স্বচ্ছ পানিতে ভেসে থাকা
নীল,সাদা,হলুদ প্রজাতির শাপলা।
দৃষ্টি শক্তি ভালো আছে বলে এড়াতে পারিনি
মাছ ও মানুষের কাব্য
এক প্রবীণ পুকুরের জলে ছিটিয়ে দিচ্ছেন
মুঠো  মুঠো মুড়ি,জলকেলিতে উঠছে মেতে
মাছের শরীর।
রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হোন ক্যামেলিয়ার সৌন্দর্যে
আর আমার চোখ আটকে যায় শরীর কাব্যে
গোপন অভিসারের প্রকাশ্য চুম্বন দৃশ্যে।


এভাবে আমাতে আর রবীন্দ্রনাথে প্রতিদিন
তৈরি হয় হাজার খানেক পার্থক্য।