তুমি আনন্দে থাকো, ভাল থাকো, সুখে থাকো
তোমার আশে পাশের অনেকেই চায়না তা
কারণে, অকারণে, সামান্যতম কোন সীমাবদ্ধতাকে
বৃহৎ একটি ইস্যু বানিয়ে, আনন্দকে নিরানন্দ বানাতে
দিন রাত অবিরত চলে মন্ত্রনা, রটনা, ছককাটা ।।


নিজেরা বানাবে ঘটনা, করবে রঙবেরঙ রটনা
নিজেই আবার করবে তোমায় নানা ছলনার মন্ত্রনা
সামনে করবে মিথ্যা সহযোগিতা, মিথ্যা ভালবাসা
পানি ঢালবে, যত্ন করবে, করবে আপ্যায়ন তোমাকে
অথচ মনেপ্রাণে চায়বে তোমার ধবংস, তোমার যন্ত্রনা ।।


সমস্যার জাল বুনে জড়িয়ে রাখবে তোমাকে
অপমান অপবাদে তোমাকে করবে জর্জরিত
দিন রাত সময়ের গতিকে কেড়ে নিয়ে করবে স্থির
আনন্দ সুখ স্বাচ্ছন্দ ও মিলনের বন্ধনকে করবে কলঙ্কিত
তারপর তোমাকেই শুনতে হবে, এসবের জন্য তুমিই দায়ী ।।


লুকোচুরি খেলবে তোমাকে নিয়ে
ইচ্ছাখুশী ধূলোপথে, কাঁদামাখা পথে হাটাবে তোমাকে
তোমার চলার পথে কাটা দিবে বিছিয়েে
আগুন জ্বালিযে চেষ্টা করবে পুড়াতে, ছাই করতেে
তোমার হাত বেঁধে দিবে, চোখে দিবে ধুলো
এরপরও তোমাকেই আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে বলবে
এসব তোমারই রচনা, তোমারই সূচনা ।।


চিন্তায় মননে মেধায় ছিটিয়ে দিবে ক্যান্সার ভাইরাস
তোমার স্বপ্নে, তোমার শক্তিতে, তোমার ভবিষ্যতের দিনগুলোতে
ঢেলে দিবে বিষমাখানো পানি যেন হয় বিষময়
তোমার চলার শক্তি, বলার শক্তি, প্রত্যাশার শক্তি সবই যেন বিষ্ময়
এ যেন তাদের বা পাশের মানুষের বড় এক শত্রু, পাহাড়সম বাঁধা
তাইতো সকাল সন্ধা চব্বিশঘন্টাই সদলবলে করে চলে মন্ত্রনা
যেন রুখতে পারে তোমার সকল শক্তিকে ।।


ভয় নেই, নেই কোন সন্দিহান, নেই কোন অনিশ্চয়তা
থাকবে কতক্ষণ তার আঙ্গুল তুলে, বাস্তবতা হলো ভিন্ন
সারাজীবন সারাক্ষণ, দিনের চব্বিশ ঘন্টাই আঙ্গুল তুলতে চায়লেও
সম্ভব নয় কোন দিনও, কোন কালেও হয়নি এমন এবং চিরন্তন সত্য
এক ঘন্টাও সম্ভব হয়নি কারো আঙ্গুল তুলে থাকতে, এ ধরাধামে ।।


নিজের আঙ্গুল নিজের অজান্তেই নুয়ে পরবে
নিজের মত করে, তোমার কোন নেই ভুমিকা তাতে
তোমার হয়ে শক্তিদাতা,  মুক্তিদাতা করবে তার সাথে খেলা
শুধুই তোমার দুচোখ ভরে দেখতে থাকো এ কেমন রঙ্গ খেলা খেলে চলে অদৃশ্য শক্তি
ধন্যবাদের ঢালি সাজিয়ে স্বপ্নকে করো বাস্তব
দুহাত তুলে করো আরাধনা, প্রাণ ভরে করো বন্দনা গান
অনুভব করবে প্রাণভরে, বিধাতার অনুগ্রহে জীবন তখন হবে ছন্দময়
আনন্দময়, গৌরবময়, ফুলে ফুলে রঙীন-- সেই শুভদিন ।।