এমনি কত চৈত্র যাবে,
আঁধার রাতে ঘুমের ঘোরে চিটচিটে ঘাম স্বপ্ন-ভিজে,
রৌদ্রকাতর আঁখির কোনে মরণপণে বর্ষা ডেকে,
মনের ঘরের কবাট খুলে, মাদুর বিছাই দহলিজে,
জলসা হবে বাদল-রাগে; ঝলসে উঠে ঝরার আগে
সূর্য্যমুখীর আত্মাভিমান দাঁড়িয়ে যেমন সটান হয়ে,
আরও অনেক বোশেখ হবে, আরও খরার কষ্ট স’য়ে
তেমনি ভাবে; স্মৃতিমেদুর পাঁজরজুড়ে চিত্র এঁকে
ফেলে আসা কতক পথের শতেক ধরণ পথের-কাঁটার,
আমিও যাব, তুমিও যাবে, কথার জোরে কথা-কাটার
দিন ফুরাবে, সব ফুরাবে, ফুড়ুৎ করেই, টের পাবে না,
কোথায় যাব, কোন সে পথে, দিশা যে তার কেউ জানে না!