যদি সবার মতে বলতে হবে
সবার পথে চলতে হবে,
পুব আকাশে হঠাৎ জেগে
পছিম পানে ঢলতে হবে-
বিধান মেনে এক বিধাতার,
সুর মুড়িয়ে তানপুরা তার,
বায়সকণ্ঠে আয়েশ করে
সঙ-সাজা গান গাইতে হবে,


তা আর না হোক;
এমনি না হয় ঘুরতে থাকি,
জন্ম-মরণ, আঁধার-আলোক,
মথনশেষের গরল মেখে,
বোতাম সেঁটে, বুকটা ঢেকে,
ভূতের মতন বিশ্ব-ভূলোক!


যদি অমনি করেই মরতে হবে,
ধরতে হবে শেষের তরী,
মাইরি! বলি, নেই পরোয়া
থোড়াই আমি কেয়ার করি!
কার শাপে, কোন মন্ত্রবলে,
যাই যদি ভাই, যাবই জ্বলে,
তবু এই রয়েছি, এমন রব,
কে আর শোনে?
কেই বা বলে?


জনে জনে মন জোগাব,
আর কি হব তেমন পাগল?
ওরে আমার ঘরের মাঝে
বুক উঁচু জল, বুকের নদী
ভাঙল আগল!


বানের স্রোতে ভাসছি যখন,
ভাসতে আরো নেইক’ মানা,
কি করি আর, এই নিয়তি,
পাখির মতন পাইনি ডানা!


যদি সবার হাতে রইল ছোরা,
পিঠের পিছে আমার তরে,
আমার বুকেই তাক করে থাক,
বিষভরা বাণ বিশ্বজুড়ে,
আমি তবু এমনি রব,
এমনি রব স্বভাবদোষে!
কি হবে আর হাতের করে
দু চার দশের অংক কষে?