আমি বাঙালি এ বাংলা আমার ঠিকানা,
বাংলা ম-ম মাতৃভাষা, কভু ভুলবো না।
বাংলার আদরে উষ্ণ স্নিগ্ধ ছায়া পাই,
শীতল পরম স্নেহে এ মন জুড়াই।  
প্রভাতে পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে যায়,
ঊষার আলোর দীপ্ত ঝলক শোভায়।
হাসিল সোনার রবি পূর্ব আসমানে,
সুজলা সুফলা শস্য মৃত্তিকার সনে।
বাঁচি-মরি দিনমণি আলোর সে আশা,
প্রকৃতির উৎসবে জাগে ভালোবাসা।
কত পেশাজীবী? সবে ব্যস্ত নিজ কাজে,
চাষী চাষে হাল, অন্ন দিতে জগৎ মাঝে।
মাঝিমাল্লা গান গায়  পাল তুলে জলে,
মাছ রাঙা মাছ ধরে পরে আসে জলে।
সাঁঝে সুদর্শন উড়ে; পাখি যায় ফিরে,
জেলে ধরে মাছ কত রুপোলীর নীড়ে।
নদী নালা খাল বিল, দৃশ পটে ঘেরা;
ছায়া সুনিবিড় স্নিগ্ধ মোর বসুন্ধরা।
পদ্মার গর্বিত বর করে জগদীশ,
রুপোলী ইলিশ যেন বাংলার আশীষ।
হেমন্তে উর্বর মাঠে দোল খায় ধান,
চাষী মুখে হাসি ভরে যায় মন প্রাণ।
সোনার ফসল ঘরে সুখ দুঃখে রবে,
নবান্নে ধুম পরে পিঠা পুলির উৎসবে।
বাংলার প্রকৃতি কি যে অপূর্ব সৌন্দর্য?
ধন ধান্যে ভরা ধরা মায়ের ঐশ্বর্য।
মুক্ত বায়ু প্রাণে বায়ু, বাঁচি রাখা জন্য,
এই বঙ্গ দেশে জন্মে হয়ে যাই ধন্য।
শোন শোন জন বাংলা মায়ের প্রকৃতি,
দেখলেই জুড়ে যায় প্রাণ ভাসে স্মৃতি।


সাম্যের দীক্ষিত মোরা সত্যের ভাবনা,
প্রীতি উপহার! হোক সে শুভ কামনা।