হে শীত তুমি এসেছো, দেখ মানবতা,
দেখ আশ্রয় বিহীন মানুষগুলোকে
জীর্ণ বস্ত্র, বস্ত্রহীন শীতের সকালে,
কন্ কনে্ ঠাণ্ডা, ছেড়া কাপড় আদরে,
রাস্তা কিম্বা ফুটপাতে, মায়ের কোলের
উলঙ্গ শিশুটি সুখ নিদ্রায় বিভর।
উষ্ণতার অভাবেই প্রাণে আর্তনাদ,
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে কাল ঘুম শেষ হয়,
এক টুকরো বস্ত্রেই কেটে যায় দিন
শেষ হয় কাল রাত। বাবুদের তবু-
প্রাণ কান্দে না বা চোখে পরেই না সব।
লুটপাট হয় এই গরিব দুখির,
উষ্ণ কাপড়, সম্পদ শীতের যে ত্রাণ।
যার যত হয় ততো চায় ভূরি ভূরি  
কাঙালের ধন করে চুরি। এ সমাজে-
তারা সাজে নেতা-খেতা, বাটপার দল।।
অসহায় ঐ আপন জন হারা বৃদ্ধা,
থরথরে কাঁপুনিতে হাত পেতে চায়,
বাবু দুটো টাকা দে না, খুব খিদে মোর,
পেট দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে,
কিছু দে না বাবা, তোর মঙ্গল হইবে।
হায়, এমন কে চায়? সহায় দশের,
একজন করে দান, সবাই এড়িয়ে -
এমন ভিক্ষের বরে কে হয়েছে সুখী?
বলো দেখি এ জগতে। সবাই ভিখারি—
প্রত্যেকেই চেয়ে থাকি এই সংসারে।


০২ পৌষ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ইংরেজি