তোমায় দেখে মনে হলো,
ফুটন্ত-মিষ্টি গোলাপ।
তোমায় দেখে মনে হলো,
কলঙ্কহীন শশী।
তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
তুমিই সেই রমণী।
যারে আমি খুঁজে চলেছি কয়েক আলোকবর্ষ।


তোমায় দেখে মনে হলো,
শরতের উজ্জ্বল-স্বর্চ্ছ নীলাকাশ।
তোমায় দেখে মনে হলো,
গোধূলির অপূর্ব ভানু।
তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
তুমিই সেই রত্নাকর।
যেথা এসে মিলিত হতে মম বড়ো সাধ জাগে।


তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
অনন্ত শোভিত ময়ূর।
যার অম্লান রূপে হিয়া চাহে হারিয়ে যেতে।


তোমায় দেখে মনে হলো,
ছুটন্ত মৃগ।
তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
তুমিই সেই বসন্তসখা।
যার কুহু-কুহু সুরে মোর হৃদয়ে জাগে রোমান্সের দোলা।


তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
তুমিই সেই স্বৃতিসৌধ তাজমহল।
যাহা শাজাহান গড়েছিল মমতাজের স্বরণে।


তোমায় দেখে মনে হলো যেন,
স্বর্গের অপ্সরা উর্বশী।
যার মন ধায় মর্তপতি পুরুরবার প্রতি।
তেমনি তব মন ধায় দেবে কি মম চিত্তে?
তব হিয়া কি চাহে মোরে ভালোবাসিতে?