মেয়ে,তোমাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখছি?
তুমি যেন অভিমান করোনা!!


তোমার শান্ত-ডাগর নয়ন,যেন এক উত্তাল সমুদ্র,
হাজারো তৃষিত প্রাণ,সেথা চাই তৃপ্ত হতে।
তোমার পিঠভর্তি বিক্ষিপ্ত কেশ,
যেন সৌন্দর্যের শ্রেষ্ঠ প্রতীক।
তোমার মধুর কন্ঠস্বর,
যেন কোকিলের কন্ঠ হতে রচিত গীত।
গ্রীষ্মের দুপুরে তোমার ঘর্মাক্ত দেহ থেকে
ছড়িয়ে পড়ে এক সুগন্ধি আভাস।


রূপে-গুণে তুমি যেন,ঋতুর রাণী শরৎ,
তোমারি অপরূপ রূপে,প্রকৃতি সেজে ওঠে।


তোমার মিষ্টি হাঁসি দেখে,রবি ওঠে খিলখিলিয়ে।
কাঁদলে তুমি মেঘাচ্ছন্ন গগন হতে অশ্রুধারা নেমে আসে।


আজো তুমি পরাধীনতার শৃঙ্খলে জড়িত,
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কারারুদ্ধ।
তোমাকে মুক্ত হস্তে করতে স্বাধীন,
আমার কবিতা হয়ে উঠুক অসীম।


জগতের যত আনন্দ-আহ্লাদ,
তোমারি চরণে করি উজাড়।
চিরকাল তুমি সুখে থাকো,
ঈশ্বরের কাছে করি উপাসনা।


আলোচ্য কবিতা তোমায় দিলাম উপহার।
যদি ভালো লাগে,রেখে দিয়ো স্মৃতির মণিকোঠায়!
নতুবা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ো,ডাস্টবিনের এককোণে।