ধ্বংসস্তুপের সহস্র স্বপ্নের স্মৃতিগুলো
দুঃস্বপ্নের মত তাড়া করে ফিরে...।
দুমড়ে-মুচড়ে পড়া মৃত্যুকুপ থেকে বেড়িয়ে আসছিলো ছিন্ন ভিন্ন
গলিত, অর্ধ-গলিত, বিকৃত একেকটি মৃতদেহ ।


অধরচন্দ্র বিদ্যালয়, সাভার স্মৃতিসৌধ, জাতীর বিবেকবোধ
শোকে ক্ষোপে শোকাহত মর্মাহ্ত, স্তব্ধ।
হঠাৎ নারী কন্ঠের ক্ষীর্ণ আকুতি-
এক হাত লম্বা ছোট্ট তারের পাতে নড়ে উঠল বাংলার পতাকা।
মু্হুর্তেই থেমে গেল ক্রেন, বুল্ডোজারের আওয়াজ
স্মৃষ্টি হল থম থমে আবেগঘন পরিবেশ।
একি বিস্ময়_ মৃত্যুগহবরে ফের প্রাণ চাঞ্চল্য, প্রাণের স্পন্দন
উদ্বিগ্ন স্বজনদের চোখে মুখে নিনাদ কান্নার করুণ ছাপ।


বেদনাহত, আশাহত, অতিক্রান্ত সতেরদিন
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
অবিশ্বাস্য, অলৌকিক ভাবে জীবিত ফিরে এলো
কিংবদন্তি অদম্য সাহসী তরুণী, মুত্যুঞ্জয়ী রেশমা।
যেন এক নব চেতনার অভ্যুদ্বয়
উন্মেচিত হল একটি ইতিহাসের নতুন অধ্যায়।


(সম্পাদক শব্দকাহন)